জলপাইগুড়ি, শুক্রবার : ফায়ার সেফটি ও ফুড সেফটি অ্যাক্ট সম্পর্কে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী মহলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জলপাইগুড়ি শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে আয়োজিত হলো এক বিশেষ কর্মশালা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রতিনিধি, দমকল বিভাগের আধিকারিক, ফুড সাপ্লাই দফতরের আধিকারিকসহ জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল— ‘আগুন ও খাদ্য নিরাপত্তা আইন কীভাবে সঠিকভাবে মানা হবে এবং তার জন্য কী কী করণীয় রয়েছে, তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা।’ ফায়ার সেফটি আইন অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দোকান বা হোটেলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক—এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন দমকল দফতরের আধিকারিকরা। পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী খাদ্য প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও পরিবেশনে যে নিয়মগুলি মানা বাধ্যতামূলক, তা তুলে ধরেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা।
পুরসভার তরফ থেকেও জানানো হয়, শহরের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে এই ধরনের কর্মশালা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অনুষ্ঠানে আলোচিত হয় ব্যবসায়ীদের করণীয়, লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য এবং কীভাবে আগুন বা খাদ্যজনিত বিপদ এড়ানো সম্ভব।
কর্মশালায় অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা জানান, এমন সচেতনতামূলক কর্মসূচি তাঁদের অনেক ভুল ধারণা দূর করেছে এবং ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনায় এটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তাঁরা।
সচেতনতা গড়ে তুলতে এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে এ ধরনের কর্মশালা আরও বেশি করে আয়োজনের দাবি উঠছে অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকেই।