শিলিগুড়ি: আগামী ১৩ জানুয়ারি, সোমবার, পৌষ-পূর্ণিমার রাতে বৈকুন্ঠপুরের গভীর জঙ্গলে অনুষ্ঠিত হবে বনদূর্গার পূজা। এ বছর পূজাটি ৪৪তম বর্ষে পদার্পণ করছে।
রাজগঞ্জের ফাঁড়াবাড়ির কাছে দিল্লিভিটা চাঁদের খাল নামে পরিচিত এই স্থানে বনদূর্গার পূজা আয়োজন করা হয়। কথিত আছে, দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের স্মৃতিবিজড়িত এই অঞ্চল সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস দেবী চৌধুরানী-তে উল্লেখিত স্থানগুলোর মধ্যে একটি।

একসময় স্থানীয় বাসিন্দারা এখানে ঠুনঠুনিয়া মায়ের নামে পূজা করতেন। পরবর্তীতে সেই পূজোই বনদূর্গার পূজা নামে পরিচিতি পায়। বর্তমানে বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলের মাঝে স্থায়ী মন্দিরে বিশেষ রীতি মেনে বনদূর্গা পূজিত হন। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি ও পার্শ্ববর্তী জেলার বহু মানুষ এই পুজোয় অংশ নেন।
বনদুর্গা পূজা কমিটির সম্পাদক রাজু সাহা জানিয়েছেন, “প্রতিবছর পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে গভীর রাতে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড পরিস্থিতির জন্য বিগত বছরগুলোতে দিনে পূজা হলেও, গত বছর থেকে আবার রাতে পূজা শুরু হয়েছে। এবছর প্রশাসনের সব নির্দেশিকা মেনে পুজো হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পূজোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এবারের পুজোতেও সাধারণ মানুষকে আসার আমন্ত্রণ জানাই।”
পূজার দুদিন স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। বৈকুণ্ঠপুরের এই ঐতিহ্যবাহী পূজা ঘিরে এখন সাজো সাজো রব।