জলপাইগুড়ি : সম্প্রতি সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার জের। গ্রেপ্তার হলেন বিজেপির জলপাইগুড়ি কিষান মোর্চার সহ সভাপতি উত্তম রায়। যদিও উত্তম বাবুর দাবী, বিজেপি করায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জলপাইগুড়ি জেলার ভোরের আলো থানার পুলিশ গতকাল রাতে জমিকাণ্ডে গজলডোবা থেকে উত্তম রায় নামে এক বিজেপি নেতাকেও গ্রেপ্তার করেছে। উল্লেখ্য, উত্তম রায়ের স্ত্রী জলপাইগুড়ি বিজেপি মহিলা মোর্চার ভাইস প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার ধৃত বিজেপি নেতা উত্তম রায় আদালতে সাংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি বিজেপি করি বলেই আমাকে ধরা হয়েছে।

উত্তম রায়ের স্ত্রী মায়া রানী দাস রায়ের দাবি, তারা ওখানে ৩৭/৩৮ বছর ধরে বসবাস করছেন। ১৯৯৮ সালের জমির সরকারী পাট্টা তাদের কাছে আছে এবং হোটেলের বৈধ সমস্ত কাগজপত্রও আছে। তাহলে তার জমি সরকারি হয় কেমন করে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, বৈধ কাগজপত্র থাকা স্বত্বেও তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হল কিন্তু তৃণমূল নেতা রঞ্জন শীল শর্মা সহ আরো অনেক তৃণমূল নেতা গজলডোবায় বিঘার পর বিঘা জমিতে রিসোর্ট করেছেন, তাদের তো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

অন্যদিকে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, আইন আইনের পথে চলবে, যদি কিছু অবৈধ থাকে তার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতেই পারে। কিন্তু বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূল করতে হবে এই চাপ দেওয়া এবং তিনি যদি তৃণমূল না করেন তাহলে মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা এবং তার হোটেল ভাঙচুর করা হবে এটা যুক্তি সংগত নয়, এর প্রতিবাদ করি। কিন্তু যে জমি যে হোটেলের কথা বলা হচ্ছে ১৯৯৮ সালে সরকার প্রদত্ত পাট্টা উত্তম রায়ের কাছে আছে। কিছুদিন আগে তিনি সেই বসতবাড়িতে হোটেল করেছেন এবং হোটেল করার জন্য সমস্ত অনুমতি পত্র তিনি সরকার থেকে নিয়েছেন। তারপরও কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হল। কিছু নয় বিজেপি করার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তৃণমূল নেতাদের অঙ্গুলিহেলনে তার হোটেলটি ভাঙার তোড়জোড় চলছে।