রাহুল মন্ডল, মালদা, ১৭ সেপ্টেম্বর’২৩ : তৃণমূলের প্রাক্তন মহিলা উপপ্রধানকে বাড়িতে ঢুকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য সহ দলবদলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য মালদার মানিকচকের ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রতনটোলা এলাকায়। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূলের প্রাক্তন মহিলা উপপ্রধান। তৃণমূল করার কারণেই ভোট পরবর্তী এই হামলা বলে দাবি তৃণমূল কর্মীর পরিবারের। ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ভাস্কর মন্ডল সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপির।
উল্লেখ্য, আহত তৃণমূলের প্রাক্তন মহিলা উপপ্রধান ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। আবার ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতেরই উপ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন এই মহিলার স্বামী। তবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনের তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তৃণমূলের সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করে গেছেন। আর ভোটের সময় থেকে বিজেপির আক্রোশ ছিল বলে অভিযোগ। বারংবার বিভিন্ন রকম হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল এই তৃণমূল কর্মীর পরিবারকে। এমনকি বিজেপি ভোটে জিতলে ঘরছাড়া করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপির লোকেরা।

রবিবার বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ তখনই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য ভাস্কর মন্ডল ও তার দলবল বাড়িতে ঢুকে মহিলার ওপর চড়া হয়। ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়। বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করলে রাস্তায় ফেলেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকলে তড়িঘড়ি পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য ভাস্কর মন্ডল সহ তার দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন উপ প্রধানের পরিবার।
তবে গোটা ঘটনাটিকে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড় চন্দ্র মন্ডল মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছেন। তিনি জানান, বরঞ্চ বিজেপির লোকেদের উপর বিভিন্ন রকম হুমকি দিচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। ঘটনায় বিজেপির লোকজনকে মারধর করা হয়েছে। তাদের তরফেও পুলিশ কে অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি।