গঙ্গাসাগর: মকর সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে গঙ্গাসাগরের এক নম্বর স্নান ঘাটে পুণ্যস্নান করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বাঙালি পোশাক পরিহিত অবস্থায় ধুতি পরে পায়ে হেঁটে সাগরের পবিত্র জলে ডুব দেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
স্নানের পর সুকান্ত মজুমদার ধামসা বাজিয়ে স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেকে জুড়ে নেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করেন।

সুকান্ত অভিযোগ করেন, গঙ্গাসাগর মেলার মূল সড়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি দিয়ে একটি তোরণ বানানোর জন্য অনুমতি চাওয়া হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন স্থানীয় বিডিও। তিনি বলেন, “গঙ্গাসাগর মেলায় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাড়া আর কিছু নেই। অথচ তাঁর ভাইপো ফাঁকে ফাঁকে ফাঁকি মারছেন।”
সুকান্ত বলেন, “মেলা নিয়ে রাজ্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার কোনও তালিকা নেই। পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো টাকা নেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ড্রেজিংয়ের নামে ৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয় বলে দাবি করা হলেও এর কোনও প্রতিফলন দেখা যায় না। দু’মাস পরেই এর বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে।”
সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গঙ্গাসাগর মেলা যদি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতে চায়, তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে না ডেকে এই মেলাকে আন্তর্জাতিক মেলা বলা যায় না।”
সুকান্ত মজুমদারের এদিনের উপস্থিতি ও তার বক্তব্য গঙ্গাসাগর মেলার প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।