
অরুণ কুমার : প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিএসএফ-বিজিবি যৌথ রিট্রিট প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার যৌথ ব্যবস্থাপনায় বিএসএফ-এর অধীনস্থ ফুলবাড়ি আইসিপির ও অপরদিকে বাংলাবান্ধা আইসিপির মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বিএসএফ – বিজিবি যৌথ রিট্রিট প্যারেড আয়োজন করা হয়। করোনার সংক্রমণ ও প্রাদুর্ভাব এর কারণে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করা হয়।

এই মহতী অনুষ্ঠানে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। আইজি বিএসএফ, নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার অজয় সিং ও অপরদিকে প্রধান অতিথি হিসেবে রিজিয়ন কমান্ডার (অতিরিক্ত মহাপরিচালক), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন, রংপুর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম নওরোজ এহসান, বিএসপি।

এছাড়াও এদিনের মহতি অনুষ্ঠানে
বিএসএফ এর ডিআইজি, শিলিগুড়ি সেক্টর পরশু রাম, ভারপ্রাপ্ত কমান্ডেন্ট, ১৭৬ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ হরিশ চন্দ্র এবং বিজিবি এর কর্ণেল মোঃ সোহরাব হোসেন, পিএসসি, সেক্টর কমান্ডার, সেক্টর সদর দপ্তর, ঠাকুরগাঁও, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ গোলাম ফজলে রাব্বী, বিজিবিএম, পিএসসি, অধিনায়ক, পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন (১২- বিজিবি), এছাড়াও বিজিবি- বিএসএফ এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা সহ পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জহিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ, পুলিশ সুপার পঞ্চগড় মোঃ ইউসুফ আলী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দুই দেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সদস্যগণ এবং বিভিন্ন স্থান হতে আগত পর্যটকগণ উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের আগমনের পর ভাতৃত্বের সেতুবন্ধন এর অংশ হিসেবে বিএসএফ-বিজিবি- প্যারেড কন্টিনজেন্ট চমকপ্রদ মনমুগ্ধকর প্যারেড পরিদর্শন করেন । প্যারেড শেষে ভারত ও বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ আধিকারিক রিজিয়ন কমান্ডার , বিজিবি উত্তর-পশ্চিম রিজিয়ন রংপুর , ও আইজি বিএসএফ , নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার বিজিবি ও বিএসএফ কন্টিজেন্টের সাথে ফটোসেশনে অংশ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার এবং বিএসএফ ফ্রন্টিয়ার কমান্ডার এ ধরনের অনুষ্ঠান দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানুষকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন । বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার এই মহতী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আইজি বিএসএফ বিজিবিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন।

সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি অজয় সিং এ বিষয়ে এই দিনটি উপলক্ষে কথা বলতে গিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাসের কথা তুলে ধরে ভারতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন এবং আগামী দিনে দুটি দেশের মধ্যে সোহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এই অনুষ্ঠানের আয়োজনের ক্ষেত্রে বিজিবি সহযোগিতার কথা এদিন তিনি উল্লেখ করে সকল পক্ষকে ধন্যবাদ জানান। উভয় বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে এই স্মরণীয় দিনটিকে আরও গৌরবান্বিত করার লক্ষ্যে দুই দেশের বন্ধুত্বের এই নিদর্শন যৌথ রিট্রিট প্যারেডের আয়োজনকে সাধুবাদ জানান ।
অনুষ্ঠান শেষে বিএসএফ -বিজিবি- ঐতিহাসিক জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্মারকচিহ্ন বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।