অরুণ কুমার : ড্রাগের নেশা সর্বনাশা। ড্রাগ থেকে দূরে রাখতে হবে নিজেকে সংযত রাখার মধ্যে দিয়ে। বিশ্ব ড্রাগ দিবস সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে নানান কর্মসূচি নিয়েছিল সশস্ত্র সীমা বল।
১২ থেকে ২৬ শে জুন পর্যন্ত সশস্ত্র সীমা বল এর ১৭ ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ড্রাগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যের নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। বাহিনীর মুখ্য হেড কোয়ার্টার ফালাকাটায় সমবেত জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড্রাগের কুফল সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় এবং এই কথাগুলির পাশাপাশি এই ড্রাগ ব্যক্তি পরিবার ও সমাজকে কিভাবে ধ্বংস করে দেয় সে বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আমাদেরকে অবহিত করা হয়। ড্রাগ বা মাদক পাচার একটা অপরাধ থেকেও প্রতিহত করতে হবে সীমান্ত এলাকায় প্রহরারত সশস্ত্র সীমা বলের বাহিনীর জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বলা হয়। সেই সঙ্গে এই মাদক নতুন প্রজন্মকে কিভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে সীমান্ত এলাকার বসবাসকারী মানুষদের এ বিষয়ে সচেতন করা এবং তাদের ছেলে মেয়েদেরকে ড্রাগ সম্পর্কে কুফল সম্পর্কে অবহিত করা অত্যন্ত জরুরী এই কথাগুলি সশস্ত্র সীমা বলের বরিষ্ঠ আধিকারিকরা জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে তুলে ধরেন।
বিশ্ব ড্রাগ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাহিনীর প্রধান কমান্ডেন্ট সঞ্জীব কুমার সিংহ সহ অন্যান্য আধিকারিক। তারা সম্মিলিত উপস্থিত বাহিনীকে ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন কর্তব্যরত অবস্থায় তাদেরকে ই-শপথ বাক্য পাঠ করান। যেখানে বলা হয় ‘ড্রাগ থেকে দূরে থাকবো’ ‘ড্রাগ নেব না’। এই ড্রাগ সেবন জীবনে ডেকে নিয়ে আসতে পারে নানান সমস্যা। এর কুফল সম্পর্কে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে ই-শপথ বাক্যে এই কথাগুলি পাঠ করা হয়। বাহিনীর উদ্দেশে সশস্ত্র সীমা বলের অন্যান্য আধিকারিকরা এই বার্তা দেন সীমান্ত এলাকায় প্রহরা সময় সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোনরকম মাদক পদার্থ সীমান্তের ওপার থেকে পাচার হয়ে আসতে না পারে।
কমান্ডেন্ট দেবাশীষ ত্রিপাঠী একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জওয়ানদের বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন যে মাদক কিভাবে জীবনে অন্ধকার জীবন ডেকে আনে এবং নিষিদ্ধ ড্রাগ ওষুধ আমাদের শরীরে পক্ষে কতটা ক্ষতিকারক। উপস্থিত ছিলেন সরকারি কমান্ডেন্ট বাবুরাম বর্মন, কুমার প্রেম প্রসূন সহ আরো অন্যান্য আধিকারিকরা।