জলপাইগুড়ি : অভিমান, আক্রোশ আর প্রতিশোধ— সব মিলিয়ে রক্তাক্ত ঘটনার সাক্ষী রইল মোহিতনগর। বৃহস্পতিবার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হলেন স্থানীয় তামাক ও খড়ির ব্যবসায়ী পিন্টু দেবনাথ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রসূন দাস কিছুদিন আগেই ওই দোকানে কাজ করতেন। আচরণগত সমস্যার কারণে তাঁকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছিল। সেই ক্ষোভই জমে ছিল বুকের ভেতরে। আর তারই বহিঃপ্রকাশ এদিন বিকেলে— হঠাৎই দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায় প্রসূন।

আত্মরক্ষায় ধস্তাধস্তির সময় পিন্টুর বাম হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলেও পরে শিলিগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়।
চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে অভিযুক্তকে ধরে ফেলেন। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
আহত ব্যবসায়ী পিন্টু দেবনাথ জানালেন, “এভাবে আমার উপর প্রাণঘাতী হামলা হবে ভাবিনি। বাঁচার জন্যই লড়েছি।”
প্রতিবেশী স্বপন দত্তের কথায়, “চিৎকার শুনেই আমরা ছুটে যাই। না গেলে আরও বড় বিপদ হতে পারত।”
মানবিক টানাপোড়েন আর প্রতিশোধের আগুন— এই ঘটনার মধ্যেই ফের প্রশ্ন উঠছে সমাজের নিরাপত্তা ও আস্থার ওপর।