স্পোর্টস ডেস্ক : চিপকের বুকে এমন দৃশ্য খুব কমই দেখা যায়। যেখানে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা এতটাই নিষ্প্রভ যে মনে হয়, নিজেদের চিনতেই ভুল করছে। যেখানে ধোনি ব্যাট হাতে নামেন, অথচ মাঠ জুড়ে নীরবতা। যেখানে শঙ্কর ৪৩ বলে অর্ধশতরান করেও নায়ক হতে পারেন না। শনিবার, সেই চেন্নাই, সেই ঘরের মাঠ—তবু এক অচেনা গল্প লিখল সিএসকে।
দিল্লির সামনে ১৮৪ রান তোলা ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবুও চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ের এমন দুর্দশা—এতটা প্রত্যাশিত ছিল না। ওপেনিংয়ে আবার ফিরেছিলেন রাচিন ও কনওয়ে। কিন্তু ফিরে এল পুরনো হতাশা। রাচিন, রুতুরাজ, কনওয়ে—তিনে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই বিদায়। অথচ এঁরা চেন্নাইয়ের ‘লুকিং গ্লাস’। যার ফ্রেমই এবার ভেঙে গেল।
বিজয় শঙ্কর, যিনি এক সময় জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন ‘থ্রিডি ক্রিকেটার’ পরিচয়ে, তাঁর ৪৩ বলের ৬৯ রানে চেন্নাইয়ের সময় শুধু থমকে যায়নি, বরং ম্যাচও পিছলে গেছে। বারবার সুযোগ পেয়েও ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ, এমন ছবি টি-টোয়েন্টিতে মেনে নেওয়া কঠিন।
এবং ধোনি—চেন্নাইয়ের হৃদস্পন্দন। বহুদিন পর ৯ ওভার বাকি থাকতেই নামলেন সাতে। কিন্তু আগ্রাসী ধোনি দেখা গেল না। স্ট্রোকস কম, ছন্দ নেই, রানের গতি নেই—ধোনি যেন নিজেকেই খুঁজছিলেন। খেলার শেষে ৩০ রান তাঁর ব্যাট থেকে এলেও, তা শুধুই একটি পরিসংখ্যান হয়ে থেকে গেল।
অন্যদিকে দিল্লি—যারা চিপকে শেষবার জিতেছিল ১৫ বছর আগে, তারাই এবার ইতিহাস লিখল। কেএল রাহুল, অভিষেক, এবং স্টাবসের ব্যাটিংয়ে গড়ে উঠল জয়ের ভিত। বল হাতে খলিল এবং অক্ষর নিজেদের কাজটা নিখুঁতভাবে সারলেন।
চেন্নাইয়ের কোচ হাসি বলেছিলেন, ধোনি হয়তো অধিনায়ক হবেন রুতুরাজের চোটের কারণে। কিন্তু মাঠে সেই চেন্নাই অধিনায়কত্বই খুঁজে পেল না, খুঁজে পেল না নেতৃত্ব, খুঁজে পেল না লড়াই।
আজকের দিনটা তাই শুধু হারের নয়, আত্মবিশ্বাস হারানোরও। ঘরের মাঠ, গ্যালারির সমর্থন, ধোনির উপস্থিতি—সব কিছু সত্ত্বেও চেন্নাই আজ ‘চেন্নাই’ ছিল না। ছিল কেবল একটি নাম, একটি জার্সি, কিন্তু প্রাণহীন।