ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রীতিমতো অব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে

কিবরিয়া হোসেন, ধুপগুড়ি, ৪ নভেম্বর’২৩ : হাসপাতালের ইমারজেন্সি ইউনিটের মেঝেতে ১২ ঘণ্টার উপরে পড়ে রয়েছে রক্ত, বমি। তার মাঝেই চলছে রোগী পরিষেবা। শনিবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাসপাতালে আসা রোগী সহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

খবর সূত্রে জানা গেছে, ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রীতিমতো অব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে। শনিবার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল ইমারজেন্সির মেঝেতে পড়ে রয়েছে রক্ত, বমি। আর সেখানেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীদের চিকিৎসা চলছে। রীতিমতো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীরা নাক, মুখ ঢেকে ইমারজেন্সিতে ঢুকছেন। রোগীদের কথায় এখানে সুস্থ হতে এসে হয়তো অসুস্থ হয়ে যেতে হবে। উল্লেখ্য এই চূড়াভান্ডার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার, সাপ্টিবাড়ি ১, সাপ্টিবাড়ি ২ , আমগুড়ি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল। আর এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বর্তমানে কর্মীহীনতায় ভুগছে।

Churabhandar primary health center in Mainaguri block is running in disarray

বর্তমানে এখানে চিকিৎসক চারজন থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন দুজন চিকিৎসক। নার্স থাকার কথা ছয়জন কিন্তু রয়েছেন চারজন। গ্ৰুপ ডি কর্মী থাকার কথা চারজন, রয়েছেন দুজন। সুইপার থাকার কথা তিনজন কিন্তু একজনও নেই। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘন্টার সুইপার প্রয়োজন। কিন্তু একজন মাত্র অস্থায়ী সুইপার রয়েছেন। যে কারণে অনেক সময় হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হয়না। যে কারণে হাসপাতালে এসে রোগীদের পরিষেবা পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। পাশাপাশি হাসপাতালে কর্মী সংকটের বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। এমনকি স্বাস্থ্য সচিব এখানে পরিদর্শনে এসেছিলেন তখনও চিকিৎসকদের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছিল।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা সহ চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা জানান, এখানে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মী আসে এবং ভালো রকম চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *