জলপাইগুড়ি, ৪ মার্চ: আপেল কুলকেই নারকেল কুল ভেবে কিনছেন অনেক ক্রেতা! শহরের বিভিন্ন বাজারে চলতি বছরে নারকেল কুলের বদলে আপেল কুল বিক্রির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। চেহারায় মিল থাকায় অনেকেই না বুঝেই আপেল কুলকে “নারকেল কুল” ভেবে কিনছেন।
এই আপেল কুল দেখতে অনেকটা নারকেল কুলের মতো, কিন্তু স্বাদে পার্থক্য রয়েছে। ক্রস ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে আপেল গাছের সঙ্গে কুলের সংযোগ ঘটিয়ে তৈরি হয়েছে এই নতুন জাতের কুল। তাই এটি তুলনামূলকভাবে বেশি মিষ্টি হলেও, পূজোর কাজে ব্যবহার করা হয় না।

জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় ফল ব্যবসায়ীরা আপেল কুলকে নারকেল কুল বা কাশী কুল বলে বিক্রি করছেন। অনেক ক্রেতা বিভ্রান্ত হয়ে না জেনেই কিনছেন এই কুল।
একজন ক্রেতা জানান, “টক-মিষ্টি স্বাদের ছোট্ট এই ফল দেখতে নারকেল কুলের মতোই। তবে ব্যবসায়ীরা এগুলো নারকেল কুল বলে বিক্রি করলেও, আসলে এগুলো আপেল কুল।”

এই কুল মূলত কলকাতা ও নদীয়া থেকে আসে এবং দামও তুলনামূলক কম। ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে এই আপেল কুল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আসল নারকেল কুলের তুলনায় আপেল কুল কিছুটা বড় এবং বেশি চকচকে হয়। তাই কেনার আগে একটু খতিয়ে দেখা জরুরি।