জলপাইগুড়ি : রাজ্য সরকারের ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা কি জলে যাচ্ছে? এমনই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে জলপাইগুড়ি সেচ দফতরের দ্বারস্থ হল দক্ষিণ আলতা গ্রাম ভূমি রক্ষা কমিটি।
সোমবার জলঢাকা নদীর তীরবর্তী গ্রামবাসীরা গাইড বাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের কাজ এবং নিয়মবিধি না মানার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ভূমি রক্ষা কমিটির সভাপতি মোমিনুর ইসলাম জানান, জলঢাকা নদীর গ্রাসে ভূমি হারিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা। 2022 সাল থেকে দীর্ঘ আন্দোলনের পর রাজ্য সরকার ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল গাইড বাঁধ নির্মাণের জন্য। তবে এত বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরেও, ঠিকাদারি সংস্থা সেচ দপ্তরের সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ ওঠে।

মোমিনুর ইসলাম বলেন, “গাইড বাঁধ তৈরির জন্য যে আকারের পাথর ব্যবহারের কথা ছিল, তার বদলে ছোটো আকারের পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। স্থানীয় শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য ও বুথ সভাপতিরা দাঁড়িয়ে থেকে এই কাজের তদারকি করলেও তাঁরা এই অনিয়মে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। আমরা গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত, কারণ এই কাজ সম্পন্ন হলে গাইড বাঁধ টিকবে না, এবং আমরা আবারও ভূমি হারানোর মুখে পড়ব।”
গ্রামবাসীরা আরও দাবি করেছেন, কাজের মান খতিয়ে দেখতে এবং অনিয়মের তদন্ত করতে অবিলম্বে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যদের মতে, নদীর গাইড বাঁধ নির্মাণ সঠিকভাবে না হলে পুরো গ্রামটাই বিপন্ন হয়ে পড়বে। “আমরা আমাদের জীবিকা ও ভূমি রক্ষার জন্য সঠিক পদক্ষেপ চাই,” বলছেন ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা।
পরিস্থিতি এখন কোন দিকে মোড় নেয়, সেটাই দেখার। গ্রামবাসীদের দাবি, অবিলম্বে কাজের গুণগত মান যাচাই করে অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।