বিশ্বজিৎ নাথ, কলকাতা, ২৫ জুলাই’২৩ : চারদিন নিখোঁজ থাকার পর সোমবার কামারহাটির ইএসআই হাসপাতালের কর্মী বিপ্লব বোসের দেহ মিলল হাওড়ার গোলাবাড়ি গঙ্গার পাড় থেকে। খুন নাকি আত্মহত্যার, তা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও মৃতের পরিবারের তরফে স্ত্রীর বিরুদ্ধে কামারহাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 
জানা গিয়েছে, ১০ বছর আগে বিপ্লব বোসের সঙ্গে বিয়ে হয় রাজারহাটের বাসিন্দা চৈতালী চক্রবর্তীর। বাড়ির অমতেই মন্দিরে গিয়ে তারা বিয়ে করেছিল। তাঁদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিপ্লবের উপর অত্যাচার করত তাঁর স্ত্রী। মৃতের কাকিমা বিপ্লবী বোস জানান, চৈতালী ইদানিং পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল। কয়েকমাস আগে সেই সম্পর্কের বিষয়ে বিপ্লব জেনে ফেলে। আর তারপর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকতো। বিপ্লবী দেবীর অভিযোগ, বিপ্লবকে ওঁর স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি মিলে পিটিয়ে মেরে গঙ্গায় ফেলে দিয়েছে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ বিপ্লব। পরদিন ২১ জুলাই শুক্রবার বিপ্লব বোসের মা কামারহাটি থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন। অবশেষে বিপ্লবের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে হাওড়া থেকে বিপ্লবের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কামারহাটি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। যদিও এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করে নি। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কামারহাটি থানার পুলিশ।
143