জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলায় অবস্থিত মাদ্রাসা ময়দানকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিভ্রান্তি ও বিতর্ক। সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন— “মাঠ তুমি কার?” মাঠের ভবিষ্যৎ ও উন্নয়ন নিয়ে সরগরম জলপাইগুড়ির রাজনীতি।
স্থানীয় কাউন্সিলর সুব্রত পাল জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই মাদ্রাসা ময়দানে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মুক্তমঞ্চ তৈরি হবে। এই প্রকল্পের জন্য পুরসভা ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা শুরু করেছে।

একসময় মাদ্রাসা ময়দান ছিল ক্রীড়া ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। এখানে চৈতালী ক্লাবের দুর্গাপুজো ছিল শহরের আকর্ষণ। স্থানীয়দের খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্রও ছিল এই মাঠ। তবে সরকারি ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের কারণে মাঠের পরিকাঠামো নষ্ট হয়ে পড়ে। সম্প্রতি, কাউন্সিলর সুব্রত পালের উদ্যোগে মাঠে মাটি ফেলে সেটিকে আবার খেলার উপযোগী করা হয়েছে।
তবে, মাঠের মালিকানা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। মাদ্রাসা মাঠ বাঁচাও কমিটি বলছে, মাঠে মুক্তমঞ্চ তৈরি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ, তবে মাঠের পরিকাঠামো উন্নত করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে, চৈতালী ক্লাব, যারা বছরের পর বছর এখানে দুর্গাপুজো করে আসছে, তাদের দাবি, এই মাঠে তাদের ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। তাই চৈতালী ক্লাবের পুজোর সংরক্ষিত মাঠ হিসেবে পরিচিত হওয়া অন্যায় নয়।

এই বিতর্কের মাঝেই কাউন্সিলর সুব্রত পাল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “এই মাঠ কোনও ক্লাবের নয়। এটি রহমান হাউজের সম্পত্তি। জলপাইগুড়ি পুরসভা মাঠটি দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছে।”
মাঠের মালিকানা নিয়ে জল্পনা চললেও, সকলেই চাইছেন মাঠের দ্রুত উন্নয়ন হোক। আর সেই আশ্বাসও দিয়েছেন কাউন্সিলর সুব্রত পাল। এখন দেখার, উন্নয়নের এই প্রতিশ্রুতি কবে বাস্তবে রূপ নেয়।