চাঁদা তুলে সহায় সম্বলহীন বিধবা মহিলার ঘর বানিয়ে দেওয়া শুরু করলেন সিপিএম কর্মীরা

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৭ জুলাই’২৩ : এবারের পঞ্চায়েত ভোটে খানিকটা সাফল্য পেয়েছে সিপিএম। কিন্তু আত্মসন্তুষ্টিতে না ভোগার বদলে তারা লোকসভা ভোটের জন্য কোমর বাঁধতে শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে তারা “রক্তে গড়া বক্রেশ্বরের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো” – এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে অসহায় মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ করেছিলেন। এবার দেখা গেল আবাস যোজনায় বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়াতে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপাড়া ১৭/১৬০ নম্বর বুথের বাসিন্দা বছর ৬৫-র বৃদ্ধা মিলন রায়।

সহায় সম্বলহীন এই বিধবা মহিলার ঘর কয়েক বছর আগে ঝড়ে ভেঙে যায়। এরপর বাড়ির পাশেই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে এবং ৩ মেয়েকে নিয়ে নিজে বাসাবাড়িতে কাজ করে কোনও রকমে দিন গুজরান করছিলেন। যেই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে রয়েছেন, সেটিরও অবস্থা বেহাল। বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে জল চুইয়ে পড়ে। বিষয়টি নজরে আসে সিপিএম কর্মীদের। এরপর অসহায় ওই মহিলা স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করেছিলেন তাকে আবাস যোজনার মাধ্যমে একটি ঘর দেওয়া হোক। এছাড়াও বিধবা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা ও একটি পলিথিন দেওয়া হোক। অভিযোগ, সেটাও জোটেনি তার ভাগ্যে। এরপর পঞ্চায়েত ভোট এসে যায়। প্রচারে গিয়ে বিষয়টি ফের নজরে আসে স্থানীয় সিপিএম কর্মীদের। সেইসময় তারা বৃদ্ধাকে কথা দিয়েছিলেন, এবার ভোটে জিতি বা হারি। আমরা তোমার বাড়ি বানিয়েই ছাড়বো। ইতিমধ্যে ভোট পর্ব মিটেছে। এবার ওই গ্রামে জিতেছে সিপিএম প্রার্থী গৌরী রায় শীল। যেমন প্রতিশ্রুতি, তেমনি কাজ। গ্রামের সিপিএম কর্মীরা যে যার সাধ্য মতো চাঁদা দিলেন। কেউ দিলেন সেচ্ছাশ্রম। সেই টাকা একত্রিত করে বাড়ি তৈরীর যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে বৃদ্ধার বাড়ি বানিয়ে দেওয়া শুরু করলেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *