জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান কর্মসূচিকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক। ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নীলম চক্রবর্তী শর্মা সরাসরি আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। যদিও কৃষ্ণ দাস এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ।
সম্প্রতি পুরসভার ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু পরিবার কৃষ্ণ দাসের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু নীলম চক্রবর্তী শর্মার অভিযোগ, এই যোগদান সম্পূর্ণ “ফেক জয়েনিং।” তাঁর কথায়, “সার্কাস যদি বারবার হয়, তাহলে সেই জিনিস দেখে মানুষের হাসি পায়। এই পরিবারগুলো আগেও দলে ছিল, আবার তাদের যোগদান করানো হলো। এটা পুরোপুরি প্রহসন।”
এই বিষয়ে কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কে কী বলল সেটা তার ব্যাপার। আমি কোনো ফেক জয়েনিং করাইনি। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তাহলে দল আমাকে শোকজ করতে পারে।” তবে তিনি অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতেও রাজি হননি।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকে কেন্দ্র করে দলের অভ্যন্তরীণ এই বিরোধ নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। একদিকে যোগদান কর্মসূচির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের একাংশ, অন্যদিকে, অভিযুক্ত নেতা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন।
তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এই ধরনের মতানৈক্য জনমানসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না, তা সময়ই বলবে। তবে জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক অঙ্গনে এই ঘটনা নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে।