নৈহাটি: মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর নৈহাটির শাস্ত্রী পাড়া রোডের ঐতিহাসিক বসতভিটে আজ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জীর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে। বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করে সংগ্রহশালা করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে। তবে এই দাবির পক্ষে বিপক্ষে চলছে চর্চা।

বিধায়ক সনৎ দে বলেন, “সমরেশ বসু, শ্যামল মিত্র, ব্যারিস্টার পি মিত্র ও কেশব সেনের মতো ব্যক্তিত্বের বাড়ি ইতিহাস থেকে হারিয়ে গিয়েছে। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর বাড়িটিও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে একই দশায় পৌঁছেছে। তাই বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা অত্যন্ত জরুরি।”

বিধায়কের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন নৈহাটির অনেক বাসিন্দা। তাঁদের মতে, এটি স্থানীয় ঐতিহ্য রক্ষায় একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
তবে হেরিটেজ ঘোষণার বিরোধিতা করেছেন পণ্ডিত শাস্ত্রীর উত্তরসূরীরা। পরিতোষ ভট্টাচার্য নামে এক উত্তরসূরী জানান, “চারটি পরিবার ওই বাড়িতে বসবাস করছে। আমরা কেউই হেরিটেজ চাই না। বাড়িটির সংস্কারের জন্য স্থানীয় এক প্রমোটারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তবে হঠাৎই হেরিটেজ ঘোষণার দাবি ওঠে।”

এই পরিস্থিতি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা তুঙ্গে। কারও মতে, ঐতিহ্য রক্ষার জন্য বাড়িটিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা উচিত। আবার অনেকে উত্তরসূরীদের মতকে গুরুত্ব দিতে বলছেন। শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নৈহাটির বাসিন্দারা।