জলপাইগুড়ি : দীর্ঘদিন ধরে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা কোহিনুর বিল্ডিং ভাঙার কাজ অবশেষে শুরু করলো জলপাইগুড়ি পুরসভা। শুক্রবার শহরের থানা মোড় এলাকার এই বহুতলের একাংশ ভাঙার কাজ শুরু হয়। যদিও এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। উল্লেখ্য, এই বিল্ডিং এ বেশ কয়েকটি দোকানদার দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন।

গত আগস্ট মাসে মুক্তা ভবনের চাঁই ভেঙে পড়ার পর থেকেই শহরের বিপজ্জনক ভবনগুলোর তালিকা তৈরি করে পুরসভা। মালিকদের নোটিশ দিয়ে ভবন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও মালিকদের গড়িমসির কারণে কোহিনুর বিল্ডিং-সহ বেশ কয়েকটি ভবন ভাঙার কাজ আটকে ছিল। এদিন উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জী জানান, “বিপজ্জনক ভবনের মালিকদের আগেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর পুর বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েই এই কাজ শুরু করেছে। জননিরাপত্তার কথা ভেবেই এই পদক্ষেপ।”
তবে এই ভাঙার কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দীর্ঘদিন ধরে ওই ভবনে ব্যবসা করে আসা এক দোকানদার। তাঁর বক্তব্য, “১৯৭০ সাল থেকে এখানে ব্যবসা করছি। আগে এই বিল্ডিংয়ের মালিক ছিল বিজয় ঘোষ, পরে তিনি বিল্ডিংটি প্রমোটর কে বিক্রি করে দেন। এখন প্রোমোটর পুরসভাকে দিয়ে ভবন ভাঙছে। এই বিল্ডিং ভেঙে ফেলার কোন নোটিস তিনি পাননি বলে জানান উক্ত ব্যবসায়ী।
পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, জননিরাপত্তার বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে ভবনগুলো বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলো ভাঙা জরুরি।