(১)
জলপাইগুড়ির ত্রিলোকেশ্বর শিবমন্দির—শহরের সবচেয়ে পুরনো এবং রহস্যময় মন্দিরগুলোর মধ্যে একটি। কথিত আছে, এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা খোদ এক যোগীশ্বর তপস্বীর হাতে হয়েছিল, যিনি মহাদেবের কৃপায় অতীন্দ্রিয় শক্তির অধিকারী ছিলেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই মন্দিরের মহাশিবরাত্রির পূজা ছিল বিখ্যাত। কেবল স্থানীয়রাই নয়, দূরদূরান্ত থেকে ভক্তেরা আসতেন এখানে, দেবাদিদেব শিবের কৃপা লাভের আশায়।
তবে এই বছরের মহাশিবরাত্রি রাত ছিল অন্যরকম। এবার শিবরাত্রিতে এমন এক মহাযোগ পড়েছে যা দেড়শো বছরে একবার আসে। রাত প্রায় দশটা, মন্দিরের গর্ভগৃহের বাইরে যখন হাজারো ভক্ত শিবের জলাভিষেক, কীর্তন আর ধুনো-ধূপের ধোঁয়ায় বিভোর, ঠিক তখনই মন্দির চত্বর কেঁপে উঠল এক করুণ আর আতঙ্কময় চিৎকারে— “মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে শিবলিঙ্গের অভিষেকের রত্ন খোয়া গেছে!”
সবাই হতভম্ব! মন্দিরের গর্ভগৃহ, যেখানে শিবলিঙ্গ বিরাজমান, সেখানে প্রতিদিনের মতো সোনার পাত্রে রাখা ছিল এক অমূল্য নীলরত্ন। শোনা যায়, এই রত্ন কেবলমাত্র মহাশিবরাত্রির রাতে বিশেষ আভা বিকিরণ করে এবং তখনই এতে খোদাই করা শিবমন্ত্র ফুটে ওঠে। এটি কেবল রত্ন নয়, বরং দেবতার আশীর্বাদের প্রতীক বলে বিবেচিত।
মন্দির কমিটি, পুরোহিত, পুলিশ, ভক্ত—সবাই বিস্মিত ও আতঙ্কিত। কেউ বুঝে উঠতে পারছে না, শত নিরাপত্তা সত্ত্বেও কীভাবে এত মূল্যবান রত্ন উধাও হয়ে গেল! মন্দিরের প্রধান পুরোহিত কালীপদ শাস্ত্রী শোকে স্থির হয়ে বসে আছেন, মন্দির কমিটির সভাপতি অনিরুদ্ধ মুখার্জি পুলিশ অফিসারের সামনে দাঁড়িয়ে দ্রুত কথা বলছেন।
তবে আশ্চর্যের বিষয়, গর্ভগৃহের প্রধান দরজা অক্ষত, কোনও তালা ভাঙার চিহ্ন নেই। তাছাড়া সেখানে প্রবেশ করা অসম্ভব ছিল সাধারণের পক্ষে!
লোকজন ফিসফিস করছে, “এটা নিশ্চয়ই অলৌকিক কিছু!” “মহাদেবের রুষ্টি নেমে এল না তো?”
কিন্তু মন্দির কমিটির এক প্রবীণ সদস্য ধীর কণ্ঠে বললেন, “না, এটা অলৌকিক কিছু নয়। এটা নিশ্চয়ই নিখুঁত এক পরিকল্পিত চুরি।”
এক পুলিশ অফিসার বললেন, “আমরা তদন্ত শুরু করব।”
কিন্তু তখনই সেই প্রবীণ সদস্য ফিসফিস করে বললেন, “এটা পুলিশের কাজ নয়, এটা করতে পারতো গোয়েন্দা গৌতম মিত্র!”
ঘটনাস্থলে নেমে এলো এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। গৌতম মিত্র— বাংলার বিখ্যাত বুদ্ধিদীপ্ত গোয়েন্দা, যার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের দক্ষতা অপরিসীম। একবার সে রহস্যের পেছনে লাগলে, সত্য প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত থামবে না!
পুলিশ অফিসার বললেন, “আমাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন। কারন ঘটনাচক্রে আজ গোয়েন্দা গৌতম মিত্র জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসেই আছেন। তিনি কলকাতা থেকে ডুয়ার্স ঘুরতে এসেছিলেন। আমি বিষয়টা তাকে জানাচ্ছি।”
কিন্তু গৌতম মিত্র কি এই অদ্ভুত রহস্যের সমাধান করতে পারবেন? নীলরত্ন কি সত্যিই চুরি হয়েছে, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও গভীর কোনো ষড়যন্ত্র?
(২)
খবর পেয়েই আধ ঘন্টার মধ্যে গৌতম মিত্র মন্দিরে পৌঁছে গেলেন। আকাশ ঢাকা ঘন মেঘে, মৃদু কুয়াশার আস্তরণ যেন মন্দিরটিকে আরও রহস্যময় করে তুলেছে। চারপাশে এখনো ধূপের গন্ধ ভাসছে, আর কোথাও কোথাও দীপ জ্বলছে মৃদু শিখায়।
মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়ে থাকা ভক্তদের মুখে আতঙ্কের ছাপ। কিছু দূরে পুলিশের গাড়ির লাল-নীল আলো চিকচিক করছে। মন্দির কমিটির প্রধান অনিরুদ্ধ মুখার্জি এগিয়ে এলেন গৌতম মিত্রের দিকে, তার চোখে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট।
তিনি বললেন, “গৌতম বাবু, আপনি এদিকে আসুন”
গৌতম মিত্র ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন গর্ভগৃহের দিকে।
প্রথমেই তার নজর গেল গর্ভগৃহের প্রবেশদ্বারের দিকে। মোটা কাঠের দরজা, তাতে ভারী পিতলের তালা—একটুও নড়চড় হয়নি। তালার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, বহু বছর ধরে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে, অথচ একটুও ক্ষতিগ্রস্ত নয়। তালা ভাঙার কোনও চিহ্ন নেই, দরজাও অক্ষত।
গৌতম ফিসফিস করে বললেন, “তাহলে রত্ন গেল কীভাবে?”
তিনি ধীরগতিতে চারপাশ পরীক্ষা করতে লাগলেন। গর্ভগৃহের পাথরের মেঝেতে কিছু অদ্ভুত চিহ্ন। মাটিতে ছড়িয়ে থাকা ধূপের ছাই, কয়েক ফোঁটা জল, আর একজোড়া অস্পষ্ট পায়ের ছাপ—যেন কেউ খুব সাবধানে এখানে পা ফেলেছে।
তিনি মাটির ওপর হাঁটু গেড়ে বসলেন, আঙুল দিয়ে ধূপের ছাই পরীক্ষা করলেন।
বললেন, “কেউ ধূপদানির খুব কাছে এসে দাঁড়িয়েছিল… আর এই জল কোথা থেকে এলো?”
পুরোহিত কালীপদ শাস্ত্রী ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললেন, “মহাশিবরাত্রির জলাভিষেকের জন্য সারা রাত গঙ্গাজল ছিটানো হয়, তবে এভাবে ছড়িয়ে থাকার কথা নয়, বাবু!”
গৌতম চোখ সরু করলেন। তার অভিজ্ঞতা বলছে, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়—কেউ পরিকল্পিতভাবে এখানে কিছু রেখেছে বা লুকিয়েছে।
তিনি বললেন, “রত্ন চুরি হয়েছে, নাকি লুকিয়ে রাখা হয়েছে?”
তিনি উঠে দাঁড়িয়ে মন্দির কমিটির সদস্যদের দিকে তাকালেন। তাদের মধ্যে কেউ কি সত্য লুকোচ্ছে? নাকি এই চুরি আসলে বড় কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ?
রহস্য গভীর হচ্ছে, আর গৌতমের মনে প্রশ্নের পর প্রশ্ন জাগছে।
(৩)
রাতের শীতল বাতাস কাঁপিয়ে দিচ্ছিল মন্দির চত্বর। গৌতম মিত্র গম্ভীর চোখে পুরোহিত কালীপদ শাস্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন, “এই রত্নের বিশেষত্ব কী?”
পুরোহিতের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। গলার স্বর যেন কেঁপে উঠল, “বাবু, এই নীলরত্নের কথা শোনা যায় বহু পুরনো শাস্ত্রে। বলা হয়, এর গায়ে এক বিশেষ শিবমন্ত্র খোদাই করা ছিল। সাধারণ অবস্থায় সেটা দেখা যায় না, কিন্তু প্রতি মহাশিবরাত্রির রাতে, নির্দিষ্ট পূজা-অর্চনার পর সেই মন্ত্র প্রকাশ পায়। মনে করা হয়, এটি মহাদেবের গুহ্য জ্ঞানকে প্রকাশ করে।”
গৌতমের চোখদুটি ক্ষীপ্র হয়ে উঠল। তিনি বললেন, “তাহলে কেউ কি আগে থেকেই জানত যে আজ রাতে এই মন্ত্র প্রকাশ পাবে?”
পুরোহিত কালীপদ থতমত খেয়ে গেলেন। উপস্থিত ভক্তদের মুখেও ভয় ও বিস্ময়ের ছাপ ফুটে উঠল।
গৌতম ধীরে ধীরে চারপাশে চোখ বুলিয়ে নিলেন। কারও চোখেমুখে গভীর আতঙ্ক, কেউ আবার চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে—অস্বাভাবিক শান্ত, যেন কিছু লুকোচ্ছে।
ঠিক তখনই এক ভক্ত আতঙ্কিত কণ্ঠে চিৎকার করে উঠলেন, “ওই দেখুন! কেউ যেন ছাদ থেকে নামছে!”
গৌতম মুহূর্তের জন্য হতবাক হয়ে গেলেন, কিন্তু অভিজ্ঞ গোয়েন্দার মতো দ্রুত সামলে নিলেন নিজেকে। সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে টর্চ বের করে আলো ফেললেন মন্দিরের উপরের দিকে।
টর্চের জোরালো আলোর শ্বেতাভ রেখায় স্পষ্ট দেখা গেল—এক কালো ছায়ামূর্তি দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে! লোকটির গায়ে ঢিলে কালো পোশাক, মুখ ঢাকা, চলাফেরা দ্রুত।
“ওকে ধরতে হবে!” বলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গেলেন মন্দিরের পেছন দিকে, যেখানে সিঁড়িটি শেষ হয়।
কিন্তু ঠিক তখনই সেই ছায়ামূর্তি হঠাৎই লাফিয়ে নিচে নামল, কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই মন্দিরের বাইরের অন্ধকারে মিলিয়ে গেল।
গৌতমের মুখ কঠিন হয়ে উঠল, তিনি ভাবলেন, “এই চুরি শুধু এক টুকরো রত্নের জন্য নয়, এর পেছনে আছে আরও বড় কোনো ষড়যন্ত্র!”
তিনি গভীরভাবে চিন্তা করতে লাগলেন—কে এই রহস্যময় চোর? সে কি শুধু রত্ন চেয়েছিল, নাকি শিবমন্ত্রের গোপন শক্তি হাতিয়ে নেওয়াই তার আসল উদ্দেশ্য?
(৪)
চিন্তা করতে করতেই গৌতম ছুটলেন সেই ছায়া যেদিকে গেছে। কিছুক্ষণ ছোটার পরই গৌতমের নাগালে চলে এলো ছায়ামূর্তিটি। তিনি দৃঢ় হাতে ছায়ামূর্তিটিকে চেপে ধরলেন। টানতে টানতে তাকে নিয়ে এলেন মন্দির প্রাঙ্গনে।
রহস্যময় সেই ছায়ামূর্তির মুখে একটা মুখোশ আঁটা। গোয়েন্দা গৌতম অপর হাত দিয়ে ছায়ামূর্তির মুখ থেকে মুখোশ টেনে সরিয়ে দিলেন, আর সঙ্গে সঙ্গেই মন্দির প্রাঙ্গণে এক অদ্ভুত স্তব্ধতা নেমে এলো।
লোকটিকে দেখে সবাই হতবাক!
— “দেবাশীষ ভট্টাচার্য!”
মন্দির কমিটির অন্যতম পুরোহিত, যিনি বহু বছর ধরে এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত, তিনিই এই রত্ন চুরির ঘটনায় জড়িত!
পরিচয় জেনে গৌতম ঠান্ডা গলায় বললেন, “আপনি কেন চুরি করলেন?”
দেবাশীষ ভট্টাচার্যের চোখে ভয়, কপালে ঘাম। তিনি কাঁপতে কাঁপতে বললেন, “আমি চুরি করিনি! আমি শুধু রত্নটাকে সরিয়ে রেখেছিলাম!”
গোয়েন্দা গৌতমের চোখ সংকীর্ণ হয়ে এলো, “কেন?”
দেবাশীষবাবু চারপাশে তাকিয়ে যেন নিশ্চিত হলেন, এরপর ফিসফিস করে বললেন, “এই রত্নের ক্ষমতা অনেক। এবার মহাশিবরাত্রিতে মহাযোগ পড়েছে। আর এই মহাযোগের রাতে যদি কেউ সঠিক নিয়মে এই রত্নের উপর খোদাই করা মন্ত্র পাঠ করে, তাহলে সে অলৌকিক শক্তি পাবে! আমি শুনেছি, এক রহস্যময় ব্যক্তি এটি চুরি করতে চেয়েছিল, তাই আমি আগেই লুকিয়ে রাখি!”
গৌতমের মনে দ্রুত একের পর এক চিন্তা চলতে লাগল। যদি দেবাশীষবাবু সত্যি বলেও থাকেন, তবে সেই রহস্যময় ব্যক্তি কে?
তিনি ধীরে ধীরে চারপাশে তাকিয়ে উপস্থিত মানুষগুলোর মুখ পরীক্ষা করতে লাগলেন। কারও মুখে ভয়, কারও মুখে কৌতূহল, আবার কেউ একদম নিশ্চুপ।
গৌতমের চোখ হঠাৎ স্থির হলো মন্দির কমিটির প্রধান অনিরুদ্ধ মুখার্জির দিকে।
— “অনিরুদ্ধবাবু, আপনি কি কিছু লুকাচ্ছেন?”
অনিরুদ্ধবাবুর মুখ মুহূর্তের জন্য ফ্যাকাশে হয়ে গেল, কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, “আমি? না… না তো!”
গোয়েন্দা গৌতম মিত্র এক ধাপ এগিয়ে গেলেন, তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অনিরুদ্ধ যেন আরও অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন।
— “আপনি জানতেন, এই রত্নের শক্তি কী! আপনি জানতেন, এবারের মহাশিবরাত্রির রাতেই মন্ত্র প্রকাশ পাবে! আর তাই আপনি এটি চুরি করতে চেয়েছিলেন!”
অনিরুদ্ধ এবার সম্পূর্ণ থেমে গেলেন। ঠোঁট শুকিয়ে এল, আর সেই মুহূর্তেই সবাই বুঝতে পারল—এই চুরির আসল ষড়যন্ত্রকারী তিনিই!
গৌতম শান্ত গলায় বললেন, “দেবতার আশীর্বাদ চুরি করে কেউ কখনো ক্ষমতার অধিকারী হতে পারে না, অনিরুদ্ধবাবু।”
(৫)
গৌতমের ঠান্ডা দৃষ্টি অনিরুদ্ধবাবু উপর স্থির রইল।
— “আপনি জানতেন, এই রত্ন শুধুই একটি মূল্যবান বস্তু নয়, এর সঙ্গে বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতা আর শক্তির ধারণা জড়িয়ে আছে। তবু আপনি লোভ সামলাতে পারেননি।”
অনিরুদ্ধবাবু এবার কাঁপতে কাঁপতে ফিসফিস করে বললেন, “আমি… আমি চেয়েছিলাম, এই রত্ন বিক্রি করে বিপুল অর্থ পেতে। এটার জন্য একজন ব্যবসায়ী আমাকে প্রচুর টাকার অফার দিয়েছিল। শর্ত ছিল আজ রাতেই এই রত্ন তাঁকে হোটেলে পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু বুঝতে পারিনি, দেবাশীষবাবু আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন।”
সবাই স্তব্ধ হয়ে গেল। মন্দির চত্বরে একটিও শব্দ নেই, যেন শিব নিজেই উপস্থিত হয়ে এই বিচার দেখছেন।
পুলিশ অনিরুদ্ধবাবুর দিকে এগিয়ে গেল। তিনি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলেন। হাতকড়া পড়ানোর মুহূর্তে তিনি অসহায়ের মতো একবার গোয়েন্দা গৌতম মিত্রের দিকে তাকালেন, কিন্তু সেখানে কোনো সহানুভূতি নেই।
রত্ন আবার শিবলিঙ্গের সামনে স্থাপন করা হল। পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করে বললেন, “এবার মহাশিবরাত্রির পূজা সম্পূর্ণ হবে!”
ভক্তরা ‘হর হর মহাদেব!’ ধ্বনিতে মন্দির প্রাঙ্গণ কাঁপিয়ে তুলল। ধূপের গন্ধ, শঙ্খের আওয়াজ, আর ঘন্টার ধ্বনিতে চারপাশ যেন পবিত্র হয়ে উঠল।
গোয়েন্দা গৌতম মিত্র ধীরে ধীরে বললেন, “শিবের আশীর্বাদ কার ওপর থাকে, তা সময়ই বলে দেয়! যারা ন্যায়ের পথে থাকে, তারাই শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়।”
সেদিনের মতো রহস্যের পর্দা উঠল, কিন্তু গোয়েন্দা গৌতম জানেন—জীবনের পথে আরও অনেক রহস্য অপেক্ষা করছে।
শেষ।