আমিরুল ইসলাম,মালদা, ২৭ সেপ্টেম্বর’২৩ : মুখ্যমন্ত্রীর সাধের পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি রাস্তার বেহাল দশা। দুর্নীতির অভিযোগ এলাকাবাসীদের। নির্মাণের পাঁচ মাসের মধ্যেই জায়গায় জায়গায় অসংখ্য গর্ত, ঢালাই উঠে গেছে । সাম্প্রতিক বর্ষণে ধস নেমেছে রাস্তায়। ভেঙে পড়ছে রাস্তার ঢালাই।ব্যাপক সমস্যায় স্থানীয় বাসিন্দা এবং পথচারীরা।

রাস্তা নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। বৃষ্টির জলে নবনির্মিত রাস্তা দিয়ে উন্নয়ন ধুয়ে গেছে কটাক্ষ বিরোধীদের। দুর্নীতি হলে তদন্ত করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে সাফাই তৃণমূলের। জানা গেছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রহমতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে রহমতপুর কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পথশ্রী প্রকল্পে ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে নির্মিত হয়েছিল। এলাকার মানুষের আশা ছিল এবার হয়তো বেহাল রাস্তার সমস্যার সমাধান হবে।

কিন্তু বৃষ্টিতে ভুল প্রমাণ করে দিল সেই আশাকে। বৃষ্টির জলে উন্নয়নের চাদর সরে গিয়ে সামনে এলো দুর্নীতি। সাম্প্রতিক লাগাতার বৃষ্টিপাতেই ধ্বস নেমেছে রাস্তায়। নবনির্মিত রাস্তার এই অবস্থা দেখে চক্ষুচড়ক গাছ এলাকাবাসীর। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে ভোগান্তির সম্মুখীন নিত্যযাত্রীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ রাস্তা নির্মাণের সময় অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়েছিল।তাই পাঁচ মাসেই রাস্তার এই বেহাল দশা হল।প্রথমে ওই রাস্তায় ফাটল ধরে।তারপর সেই ফাটল দিয়ে বৃষ্টির জল ঢুকে সম্পূর্ণ ধ্বসে গেছে রাস্তা।যান চলাচল তো বটেই পায়ে হেঁটে চলাচল করতে গিয়েই মানুষ সমস্যায় পড়ছে।এলাকার প্রায় ৫০ টি পরিবার ব্যাপক সমস্যার মুখে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত রাস্তা সংস্কারের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

সমগ্র বিষয়ে খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে আশ্বাস জেলা শাসকের। প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য-জুড়ে ঘটা করে পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের শাসক দল বলেছিল গ্রামে গ্রামে রাস্তার সমস্যা সমাধান হবে।এই প্রকল্পকে সামনে রেখে ভোটে লড়েছিল তৃণমূল। কিন্তু কয়েক মাসে সেই প্রকল্পের রাস্তারই এমন বেহাল দশা। স্বাভাবিক ভাবেই দুর্নীতি ইস্যুতে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।