সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২ সেপ্টেম্বর’২৩ : ধুপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে যাওয়ার পথে শনিবার জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে নেমে “ইন্ডিয়া জোট” নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা দিলীপ ঘোষ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “প্রতিশ্রুতি দিদি” বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিন জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে পদাতিক এক্সপ্রেসে নামেন তিনি। সেখান থেকে তিনি শহরের একটি বেসরকারী হোটেলে ওঠেন। এদিন ধুপগুড়িতে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী সভা করবেন দিলীপ ঘোষ।

“ইন্ডিয়া জোট” প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ জানান, এখনো বলার মতো কিছু নেই। সবে মিটিং হচ্ছে। মিটিং থেকে বাড়ি গিয়ে অনেকে অনেক রকম কথা বলছেন। জোটের চেষ্টা হচ্ছে। আসলে মোদীজির সামনে কারো একার আসার হিম্মত নেই।
গতকাল ধুপগুড়িতে নির্বাচনী প্রচারে একই মঞ্চ থেকে বিজেপিকে আক্রমন করে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী আর বামফ্রন্টের মহঃ সেলিম। এ নিয়ে দিলীপ বাবুর বক্তব্য ছিল – আমাদের বিরুদ্ধে যদি কথা বলেন, তাহলে এক জায়গায় বসছেন না কেন? দিদিমণি নবান্নে ডেকেছিলেন চা খাওয়াবার জন্য। যাননি তো। দিল্লীতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি। বাংলার মানুষকে বোকা বানাবেন না। তিনি কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সাধারণ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এমএলএ এবং এমপি’দের সিট বাঁচানোর জন্য তাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

“এক দেশ এক ভোট” নিয়ে দিলীপ বাবুর মন্তব্য ছিল, সারাবছর ভোট লড়তে হয়। আর ভোটে লড়াই করা শুধু সরকারি পয়সা খরচ করাই নয়, সরকারি প্রশাসনকেও ভোটের জন্য ব্যবহার করতে হয়। সেজন্য আমরা চাই বিধানসভা ও লোকসভা ভোট একসাথেই হোক। তাহলে আর সাধারণ মানুষকে বারবার লাইনে দাঁড়াতে হবে না। পয়সা আর সময় নষ্ট হবে না। প্রশাসন ভোটের কাজে বারবার ব্যস্ত না হয়ে পড়ে।
দুয়ারে সরকার স্টলে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য আলাদা করে স্টল রাখা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, এগুলো লোকেদের কে বোকা বানানোর জন্য ভোটের আগে করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করার ক্ষমতা নেই। করার কোন ইচ্ছেও নেই।
ধুপগুড়িকে মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখনো মহকুমা না করার বিষয়ে দিলীপ বাবুর জবাব ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু প্রতিশ্রুতি দেন, প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন না। সেইজন্য আমরা ওনাকে প্রতিশ্রুতি দিদি বলি।