সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৫ আগস্ট’২৩ : শিশুর শারীরিক এবং মানসিক কোন সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানতে এবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গড়ে তোলা হচ্ছে ডিস্ট্রিক আর্লি ইন্টারভেশন সেন্টার। ইতিমধ্যে জেলা হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে পাশে এই সেন্টারের স্থায়ী ভবন তৈরির জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বক্তব্য কোন শিশুর শারীরিক অস্বাভাবিকতা থাকলে এই সেন্টারের মাধ্যমে তা চিহ্নিত করে চিকিৎসার মাধ্যমে সমস্যা কমিয়ে আনা বা কাটিয়ে তোলা সম্ভব।

এই সেন্টারের জন্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ইতিমধ্যে কাজেও যোগ দিয়েছেন বলে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সুত্রের খবর। দেখা যায় বাবা মা যদি, ডায়াবেটিস রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের শিশুরও ওই রোগে আক্রান্ত হওয়া সম্ভাবনা থেকে যায়। আবার জেনেটিক রোগ ছাড়াও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকার সম্ভাবনা থাকে শিশুদের। তাই আর্লি ইন্টারভেশন সেন্টার থেকে সংশ্লিষ্ট শিশুর কোন সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গেছে শিশুর বিহেভিহার থেরাপি, আকুপেশনাল থেরাপি, ফিজিও থেরাপি, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি, এই সমস্ত ছাড়াও আরো একাধিক বিষয়ে এই সেন্টার থেকে কাজ করা হবে।

এদিন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি কল্যান খাঁ জানান, কোন শিশুর ছোট বয়সেই যদি ডায়াবেটিস ধরা পরে তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। আবার বাবা মায়ের থেকে যে সমস্ত রোগ শিশুর মধ্যে আসার সম্ভাবনা থাকে সেই রোগগুলিকে আগে থেকেই যদি চিহ্নিত করা যায় তাহলে অনেকাংশের তা কমিয়ে আনা যেতে পারে।