সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : জলপাইগুড়ি শহরে দম্পতি’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিমকোর্টের তত্ত্বাবধানে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলল জেলা বামফ্রন্ট। বুধবার জেলাশাসক দফতরে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দাবিপত্র জেলা প্রশাসনকে তুলে দিলেন বামফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক সলিল আচার্য, পীযুষ মিশ্র, প্রকাশ রায়, প্রানেশচন্দ্র সরকার সহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, গত শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়ার বাড়ি থেকে পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরমাতা অর্পণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য সুবোধ ভট্টাচার্যের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সুবোধ ভট্টাচার্য সম্পর্কে ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর বিজেপির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই।

মৃতদের ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি চারপাতার সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে জলপাইগুড়ি পুরসভার বর্তমান উপ পুরপিতা সৈকত চ্যাটার্জী, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষ সহ আরও দুজনের নাম উঠে এসেছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি সহ বেশ কিছু তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ডাবগ্রাম ফুলবাড়ীর বিজেপির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।

এদিন বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক সলিল আচার্য বলেন, “দম্পতির মৃত্যু আত্মহত্যা নয়! খুন। চাপ দিয়ে আত্মহত্যা করানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দিনকে রাত ও রাতকে দিন করে। এই ঘটনায় শাসক দলের নেতাদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে। এই কারণে আমরা চেয়েছি হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। এই দাবি তুলে ধরা হয়েছে (নীচে দেখুন ভিডিও)।