রাজনৈতিক বিতর্ক নয়, শিক্ষার পাশে মানবিক বার্তা—স্বেচ্ছাশিক্ষক হিসেবে এগিয়ে এলেন ডঃ চন্দ্রচূড় গোস্বামী

কলকাতা : চাকরি দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় যেন ঝড় তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায়। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি অনিশ্চয়তার মুখে। এর প্রভাব সরাসরি পড়তে পারে রাজ্যের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর উপর—এই আশঙ্কা যখন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে, তখন এক অভিনব এবং মানবিক নজির গড়লেন হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডঃ চন্দ্রচূড় গোস্বামী।

রাজনীতির আঙিনা থেকে বেরিয়ে ডঃ গোস্বামী জানালেন, “ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় যেন কোনো বাধা না আসে, সেটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।” সেই কথা মাথায় রেখেই তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সরকারি স্কুলে এবং অনলাইনে সম্পূর্ণ নিঃশুল্ক ক্লাস নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

কী কী পড়াবেন তিনি? মাধ্যমিক পর্যন্ত সমস্ত বিষয়। উচ্চমাধ্যমিক ও তার ঊর্ধ্বে বায়োলজিক্যাল সায়েন্স। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে ক্লাস নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

এছাড়া, গণমাধ্যম মারফত নিজের ফোন নম্বর ও ঠিকানা প্রকাশ করে ডঃ গোস্বামী আবেদন জানিয়েছেন—যে কোনো ছাত্রছাত্রী বা অভিভাবক চাইলে সরাসরি যোগাযোগ করুন তাঁর সঙ্গে।

ডঃ গোস্বামীর কথায়, “যোগ্য ব্যক্তির চাকরি যাক সেটা আমরা চাই না, আবার অযোগ্য কেউ যেন শিক্ষকতার আসনে না বসে—কারণ শিক্ষকের হাতেই তো গড়ে ওঠে আগামী প্রজন্ম। সেই দায়িত্বে কোনো আপস হতে পারে না।”

যখন রাজ্য জুড়ে চলছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি, তখন এই নিঃস্বার্থ শিক্ষাসেবা কার্যত এক নতুন দিশা দেখাচ্ছে—যেখানে রাজনীতি নেই, আছে কেবল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য চিন্তা। ডঃ চন্দ্রচূড় গোস্বামীর এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে একটি মানবিক আলোকবর্তিকা হয়ে উঠছে রাজ্যের শিক্ষা সংকটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *