সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১৭ নভেম্বর : আহত বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে বন্যপ্রাণ বিভাগের দ্বারস্থ হলেও দপ্তরের সহযোগিতা না পাওয়ায় বেঘোরে প্রাণ হারাতে হলো ইলেকট্রিক শকে আহত একটি বাঁদরকে এমনই অভিযোগ। বাঁদর উদ্ধারকারী বাবাই কুমার দে, অসীম সরকারের অভিযোগ, আমরা বাঁদরটিকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে এলেও বনবিভাগ বা পশু হাসপাতালের কোন সাহায্য পেলাম না। এই কারণেই এভাবে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল বাঁদরটিকে। খবরে প্রকাশ, আজ সকালে জলপাইগুড়ি আসাম মোড়ে ইলেকট্রিক তারে শক খেয়ে একটি বাঁদর নীচে পড়ে যায়। এরপর আহত অবস্থায় বাবাই কুমার ও অসীম সরকার বাঁদরটিকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের দপ্তরের ওখানে বন বিভাগের অফিসে নিয়ে আসেন। ওখানে তাদের বলা হয় পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে সেখানেও বাঁদরটির চিকিৎসা হয় না। এরপর বাঁদরটিকে হাকিমপাড়া ফরেস্টের আর এক অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সেখানেও কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা হয় না বলে অভিযোগ বাবাই কুমার আর অসীম সরকারের। আর সেখানেই উদ্ধারকারীদের হাতের ওপরেই প্রাণ হারায় বাঁদরটি।
