সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ১ সেপ্টেম্বর : ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে জলপাইগুড়িতে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করল জেলা প্রশাসন৷ উল্লেখ্য, বাঙালীর দুর্গোৎসব ইউনেস্কোর “সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য”-র স্বীকৃতি পেয়েছে।

তবে দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি এনে দেওয়ার পেছনের মানুষটিকে হয়তো আমরা অনেকেই চিনি না? তিনি হলেন কলকাতার গবেষক তপতী গুহ ঠাকুরতা। তিনি অধ্যাপনা করতেন প্রেসিডেন্সি কলেজে।

২০০৩ সাল থেকে শুরু হয় তার কর্মযজ্ঞ। তার গবেষণাই বিশ্ব আঙিনায় দুর্গাপূজাকে তুলে ধরেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক ২০১৯ সালে তাঁকে এনিয়ে বিস্তারিত গবেষণার দায়িত্ব দেওয়া হয়। গবেষণাপত্রটি তিনি পাঠান ইউনেস্কোতে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে স্বীকৃতি পায় তার গবেষণা পত্র।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক উদ্যোগে কলকাতা সহ রাজ্যের অন্যান্য জায়গার সাথে জলপাইগুড়ি শহরের সমাজ পাড়ার রবীন্দ্রভবন থেকে শোভাযাত্রার সূচনা হয়। বেগুনটারি, কদমতলা, ডিবিসি রোড, থানা মোড় হয়ে সমাজ পাড়ায় এসে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রার জেলার ১১৪ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা, প্রায় ২৪০টি ক্লাব, স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করে।

জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার জেলাশাসক মৌমিতা গোদারার পাশাপাশি মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করলেন কয়েক হাজার মানুষ।

কোন পুজো কমিটি পুরুলিয়ার ছৌ নাচ আবার কেউবা দুর্গা, রাম লক্ষণ সেজে শোভাযাত্রার অংশ গ্রহণ করেন৷ পালকি করে দুর্গা নিয়ে যেতেও দেখা যায়। অন্যদিকে কেউ শাঁখ, কাঁসর, ঘন্টা, ঢাক, ধামসা, মাদল, ব্যান্ড পার্টি বাজিয়ে র্যালীতে অংশ গ্রহণ করলেন৷ এছাড়া মহিলারা হলুদ, সাদা শাড়ি পড়ে ব্যানার হাতে উলু দিয়ে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান।
