জলপাইগুড়ি, ২০ জুন : ঘন বৃষ্টির আবহে ভোররাতে হানা দিল এক দাঁতাল বুনো হাতি। জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের শালবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উৎপলের মোড় এলাকায় ভোররাতে ঘটে গেল এক ঘটনা। শালবাড়ির শান্তিপূর্ণ জনপদে হঠাৎ আবির্ভাব হয় এক বিশাল দাঁতাল হাতির। তার তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি এলাকার একমাত্র মুদি দোকানটিও।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, হাতিটি মরাঘাট জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে সোজা দোকানে ঢুকে পড়ে। চাল-ডাল, তেল, বিস্কুট সহ যা কিছু খাদ্যসামগ্রী মেলে, সব গুঁড়িয়ে দেয় ও খেয়ে নেয়। দোকানের কাঠামো, তাক, আসবাবপত্র—সবই মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দেয়।
দোকানদার কান্নাজড়ানো গলায় বলেন, “রাত তখন প্রায় সাড়ে তিনটে। হঠাৎ আওয়াজে জেগে দেখি হাতিটা দোকানের ভেতরে। যা খাবার ছিল সব শেষ করে দিয়েছে।”
এলাকার মানুষজন জানান, “প্রতিদিনই কোন না কোন বুনো হাতি আসছে। ভয় আর অভ্যেস—দুটোই হয়ে যাচ্ছে।”
উল্লেখ্য, এই চানাডিপা ও আশেপাশের অঞ্চলগুলি হাতির গতিপথে পড়ায় হামেশাই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয় বাসিন্দাদের। অতীতে হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্কুল, আইসিডিএস সেন্টার-সহ গুরুত্বপূর্ণ জনপরিসেবা কেন্দ্রগুলোও।
স্থানীয়দের দাবি: বন দপ্তরের টহলদারি আরও জোরদার হোক, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
জলপাইগুড়ি জেলার এই বনাঞ্চল সংলগ্ন জনপদগুলিতে মানুষের জীবিকা যেমন প্রকৃতিনির্ভর, তেমনি তাদের প্রতিদিনের জীবনে ‘বন্য আতঙ্ক’ যেন এক অনিবার্য নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।