রাহুল মন্ডল, মালদা, ১৩ সেপ্টেম্বর’২৩ : গ্রাম পঞ্চায়েতে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর ওপর এলোপাথাড়ি হাসুয়ার কোপ। বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠলো নির্দল সমর্থকদের (বিক্ষুব্ধ তৃণমূল) বিরুদ্ধে। হাসুয়ার কোপ মহিলাকেও। বুধবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদার মানিকচক ব্লকের পশ্চিম নারায়ণপুরের মহেন্দ্রটোলা গ্রামে। ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থী সহ তিনজন তৃণমূল কর্মী আহত। পাল্টা মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নির্দলের তিন সমর্থক আহত। আহতরা সকলেই মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৭ নম্বর বুথের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন জুলি মন্ডল। তবে প্রার্থী হতে না পারায় বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী সমর্থক নির্দলের সমর্থক হয়ে যান। এই প্রার্থী হতে না পারাকে কেন্দ্র করে আক্রোশ ছিল তৃণমূল ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের মধ্যে। এই শত্রুতার জেরেই পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী জুলি মন্ডলের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় নির্দল সমর্থকরা (বিক্ষুব্ধ তৃণমূল) বলে। হাসুয়া, লোহার রড দিয়ে জুলি মন্ডলের স্বামী সন্তোষ মন্ডলের ওপর চড়াও হয়। এলোপাথাড়ি হাসুয়ার কোপ মারার সাথে লাঠি দিয়ে ব্যাপক আঘাত করা হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে হাসুয়ার কোপে আহত হয় সুলেখা মন্ডল নামে এক মহিলা।পাশাপাশি মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মী ধনঞ্জয় মন্ডলকেও। তিনজনই গুরুতর আহত অবস্থায় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে নির্দল সমর্থক শ্রবণ মণ্ডল, কৃষ্ণ মন্ডল, পলাশ মন্ডল, রূপচাঁদ মন্ডল সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের তৃণমূল প্রতিদ্বন্দিতা করা পরাজিত প্রার্থী জুলি মন্ডল জানান, নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে আক্রোশ ছিল। দল আমাকে যোগ্য মনে করেছিল তাই টিকিট দিয়েছিল। যারা অভিযুক্ত তারা গ্রামে বরাবরই সন্ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে।একটি পরিবারকে মাসখানেক আগে মারধর করেছিল। সেই পরিবারের পক্ষে সাক্ষী দেওয়ায় আরও আক্রোশ বাড়ে তাদের। বুধবার বাড়িতে ঢুকে হাসুয়া দিয়ে কোপানো হয়। ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের দারস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে নির্দোষ সমর্থক কৃষ্ণ মন্ডলসহ তিনজন আহত। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা মারধর করার অভিযোগ তুলেছেন তারা।