জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি শহরের করলা সেতু সংলগ্ন জলাভূমিতে বহুতল নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে। এমনটাই দাবি করেছে পরিবেশপ্রেমী সংগঠন। অথচ এই জলাভূমি রক্ষার দাবিতে ইতিমধ্যেই আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পুরসভা নকশার অনুমোদন দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সোমবার জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ জানায়, তারা পুরসভার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে। একই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গণকনভেনশনের মাধ্যমে জলাভূমি রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের তরফে জ্যোতি প্রসাদ রায় অভিযোগ করেন, “আমাদের জলাভূমি রক্ষার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। বিএলআরওর পক্ষ থেকে সেকশন 4CK লঙ্ঘন করে জমির চরিত্র বদল করা হয়েছে। পুরসভা আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই নির্মাণকারী পক্ষকে মদত দিচ্ছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা জলাভূমি রক্ষার এই আন্দোলন আদালতের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। পুরসভার এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি এবং প্রয়োজনে গণআন্দোলনের পথ বেছে নেব।”
পরিবেশপ্রেমী সংগঠনটি জলাভূমি রক্ষার জন্য আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি শহরের মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন সভা ও আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে। তারা মনে করে, এই জলাভূমি শুধুমাত্র পরিবেশের জন্য নয়, শহরের বাস্তুতন্ত্রের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের নেতৃস্থানীয় সদস্য বিশ্বজিৎ দত্ত চৌধুরী, জ্যোতি প্রসাদ রায় এবং অন্যান্যরা। তারা একযোগে জানিয়েছেন, জলাভূমি রক্ষার এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর আকারে পরিচালিত হবে।
পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের এই অভিযোগ এবং পদক্ষেপে জলপাইগুড়ি শহরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পুরসভার ভূমিকা এবং আদালতের সিদ্ধান্তের দিকে এখন নজর রয়েছে পরিবেশপ্রেমীসহ শহরের সচেতন নাগরিকদের।