বিশ্বজিৎ নাথ : ব্যারাকপুরের হৃৎপিণ্ডে এবার উঠে এল চাঞ্চল্যকর নিরাপত্তা-প্রশ্ন। পাক গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে ঘিরে বিস্ফোরক দাবি করলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। মঙ্গলবার জগদ্দলের মজদুর ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “বিরিয়ানি ছিল শুধু ছুতো, লক্ষ্য ছিল সেনা ও বিমান ঘাঁটি।”

সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ধৃত ইউটিউবার মালহোত্রা এসেছিলেন ব্যারাকপুরের বিখ্যাত দাদা-বৌদির বিরিয়ানি খেতে। কিন্তু অর্জুন সিংয়ের অভিযোগ, মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, এয়ার ফোর্স স্টেশন, হ্যাল-সহ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলির গোপন তথ্য ও চিত্র সংগ্রহ। তাঁর মতে, এটি একটি সাজানো চক্রান্ত, যার পেছনে রয়েছে বৃহত্তর বিদেশি ষড়যন্ত্র।
আরও উদ্বেগজনক অভিযোগ তুলেছেন অর্জুন সিং — বিদেশ থেকে আগতরা ভুয়ো নথি তৈরি করে দিব্যি নাগরিক সুবিধা ভোগ করছেন। পঞ্চায়েত প্রধান বা কাউন্সিলারদের দেওয়া রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের জোরে তৈরি হচ্ছে ভোটার, আধার ও রেশন কার্ড। তিনি বলেন, “এর ফলে দেশের নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে। এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও চিঠি পাঠাবেন তিনি, যাতে পঞ্চায়েত বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নাগরিক নথি জারি করার অধিকার খর্ব করা যায়।
জ্যোতি মালহোত্রার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ইউটিউবার সৌমিত ভট্টাচার্যের সংযোগ, ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে তাঁর উপস্থিতি— সব মিলিয়ে ব্যারাকপুরে ছড়িয়ে পড়েছে সন্দেহের ধোঁয়া। প্রশাসন ও গোয়েন্দা বিভাগ এখন সতর্ক নজর রাখছে।