সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২২ অক্টোবর’২৩ : এক সময় এই রাজবাড়ীর দুর্গাপূজায় হত নরবলি। আজও এই পুজোয় অর্ধরাত্রে নরবলি হয়, তবে তা চাল দিয়ে বানানো মানুষকে বলি দিয়ে মাকে উৎসর্গ করা হয়। এবছর এই পুজো ৫১৪ বছরে পদার্পন করলো। আমরা বলছি জলপাইগুড়ি বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ীর দুর্গাপুজোর কথা।

এই রাজবাড়ীর দুর্গাপূজা দেখতে যাওয়া মানেই এক ঐতিহাসিক রীতিনীতির সঙ্গী হওয়া। জলপাইগুড়ির রাজবাড়ির পূজো আজও সমান ভাবে দাগ কাটে উত্তরবঙ্গে জনপদের একটি বড় অংশের মনে। আজ রবিবার যথাযথ মর্যাদায় সম্পন্ন হল মহা অষ্টমীর পুজো।

এরই ফাঁকে রাজপরিবারের সদস্য প্রনত কুমার বসু জলপাইগুড়ি নিউজ কে বলেন, একসময় কোচবিহারের বিশ্ব সিংহ এবং জলপাইগুড়ির শিশু সিংহ এই পূজোর প্রচলন করেন এবং সেকালে শিশু সিংহ তারই এক অনুচরকে মায়ের কাছে উৎসর্গ করার জন্য প্রস্তুত হন। সেই সময় যেহেতু বিশ্ব সিংহ এই পুজো শুরু করেছিলেন তিনিই তখন সেই নরবলি দেন কুষ দিয়ে যা মা গ্রহণ করেন। সেই থেকে আজও সেই রীতি চলে আসছে, রাজবাড়ীর দুর্গাপূজার একটি বিশেষ পুজো যাকে অর্ধ রাত্রির পুজো বলে। যে পুজোতে সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেই পূজোয় চাল দিয়ে বানানো মানুষকে বলি দিয়ে মাকে উৎসর্গ করা হয়।

অপরদিকে নতুন প্রজন্মের সদস্য রাজবাড়ীর পুত্রবধূ লিন্ডা বোস এই পুজো প্রসঙ্গে বলেন, আজ অষ্টমীর পুজোর সঙ্গে অঞ্জলী এবং সন্ধ্যায় সন্ধি পুজো। রাজবাড়ীর যে বিশেষ পুজো সেটি সপ্তমীর অর্ধ রাতেই সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার নবমীর দিন রাজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিশেষ হোম যজ্ঞ হবে, দশমীতে রথে চড়ে মায়ের বিসর্জন।