সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ২৭ সেপ্টেম্বর’২৩ : তিন বছর হয়ে গেছে। সার্টিফিকেট নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরেও মেলেনি চাকরি। এদিকে নার্সিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রেনিংয়ের জন্য দেওয়া টাকা ফেরৎ চেয়ে পথে নামলো জলপাইগুড়ির দিশারী নার্সিং সেন্টারের প্রশিক্ষন নেওয়া ছাত্রীরা। শুধু তাই নয় এই বিষয় নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জেলাশাসকের কাছেও স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। ছাত্রীদের বক্তব্য জেলাশাসক কি ব্যবস্থা নেন সেটা দেখার পরেই তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। জলপাইগুড়ি শহরের দিশারী নার্সিং সেন্টার কান্ড নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন নতুন তথ্য সামনে উঠে আসছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে পদ্মশ্রী করিমুল হক কোতয়ালী থানায় উক্ত নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের কর্নধারের নামে প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবার খোদ সেন্টারে প্রশিক্ষন নেওয়া ছাত্রীরা চাকরি না পেয়ে আন্দোলন মুখি হওয়ার ঘটনায় এই কান্ডে নতুন মাত্রা আনছে বলেই মনে করা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কোনো অনুমতি নেই। অথচ দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে শান্তনু শর্মা দিশারী নার্সিং সেন্টার চালিয়ে আসছিলেন। গত কয়েক বছরে শতাধিক ছেলে মেয়েদের নার্সিংয়ের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে ওই সেন্টার থেকে।
শুধু তাই নয় ভুয়ো সার্টিফিকেট প্রদান করা হচ্ছে এই অভিযোগ সোস্যাল মিডিয়ায় উঠে আসার পরেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয় জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এই ঘটনা, সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরেই ওই সেন্টার থেকে প্রশিক্ষন নেওয়া ছাত্রীরা তাদের অভিযোগ নিয়ে সামনে আসতে থাকেন।
এদিন জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পরে ছাত্রী সুষ্মিতা দাস বলেন, তিন বছর আগে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে নার্সিং ট্রেনিং নিয়েছিলেন। এর পরে সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য আরো ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।
ভুয়ো এই নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের আর এক ছাত্রী পিঙ্কি রায় জানান, প্রশিক্ষণে ইঞ্জেকশন দেওয়ার সময় খালি সিরিঞ্জ দিয়ে শরীরে সূঁচ ফোটানো হত। তিনি আরো বলেন, পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়েছিলেন, কিন্তু কাজ মেলেনি।