
রাহুল মন্ডল, মালদা, ৪ মার্চ ২০২৩ : নবান্নের পরিচয় দিয়ে ভুয়ো ফোন কল রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীকে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে ১২ ঘণ্টার মধ্যে সাফল্য পুলিশের। গ্রেপ্তার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ফোন করা ব্যক্তি। পুরো ঘটনায় বিরোধীদের চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল। পাল্টা তোপ বিজেপির। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। জানা গিয়েছে, মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের কাছে গত বুধবার বিকেলে একটি ফোন আসে। সেই সময় মালদা জেলাশাসক দপ্তরে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে ছিলেন তাজমুল হোসেন।

ফোন করে তাকে বলা হয় নবান্ন থেকে ফোন করা হয়েছে। তার কাজকর্ম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য জানতে চাওয়া হয়। প্রথমে সাতপাঁচ না ভেবে প্রশ্নের ভিত্তিতে উত্তর দিয়ে যান প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন।কিন্তু পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন নবান্ন থেকে এমন কোন ফোন করা হয়নি। সাথে সাথেই তাজমুল হোসেনের ব্যক্তিগত সহায়ক গোলাম মোর্তজা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেই নম্বরটি ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে ফোনটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর থানা এলাকার ট্যাংরা কাঠপুর থেকে এসেছিল। সাথে সাথে আইসি দেওদূত গজমেরের নির্দেশে এএসআই অজিত মণ্ডল উত্তর ২৪ পরগনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন অভিযুক্তকে ধরার জন্য।

সেখানে অশোকনগর থানার সহায়তায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুরে নিয়ে আসে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম আজিম মন্ডল। দশদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে অভিযুক্তকে শুক্রবার চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার মধ্যেও রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ বিরোধীদের আইটি সেল থেকে এই ধরনের কাজ করা হয়েছে।

পাল্টা আক্রমণ সানিয়েছে বিজেপি। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, যে প্রতারক ফোন করেছিল তদন্ত করলে দেখা যাবে সে তৃণমূলেরই লোক। বিরোধীদের খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, এই সব করতে যাবে। সাগরদিঘী নির্বাচনের ফলাফল দেখে তৃণমূল বুঝতে পারছে তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে।