জলপাইগুড়ি, ২৩ ফেব্রুয়ারি: নতুন সিম কার্ড নিতে গিয়ে বারবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছিলেন কি? সতর্ক থাকুন! জলপাইগুড়ি পুলিশের বিশেষ অভিযানে ফাঁস হল ভয়ঙ্কর জালিয়াতি চক্র।
রবিবার জলপাইগুড়ি সাইবার থানায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানান, দীর্ঘদিন ধরে বায়োমেট্রিক তথ্য ও আধার কার্ডের অপব্যবহার করে অবৈধভাবে সিম কার্ড ইস্যু ও বিক্রির চক্র সক্রিয় ছিল। এইসব জাল সিম কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন সাইবার অপরাধ ও ব্যাংক প্রতারণা চালানো হচ্ছিল।

পুলিশের অভিযানে মালবাজার, মেটলি ও নাগরাকাটা থেকে তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন মাল থানার ক্ষুদিরাম পল্লীর অর্ণব দত্ত, মেটেলি থানার বড় দিঘি এলাকার নরেন্দ্র ঠাকুর এবং নাগরাকাটা থানার সুখানি বস্তির সুনীল প্রসাদ।

অভিযানে উদ্ধার হয় ৩৫টি জাল সিম কার্ড, পিওএস মেশিন ও বায়োমেট্রিক ডিভাইস।
জলপাইগুড়ি পুলিশের তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৭২টি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং ৪টি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, এই জাল সিম কার্ডগুলি কলকাতার একাধিক কল সেন্টারে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত হতো।

কীভাবে চলত প্রতারণা? এই চক্রের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে নতুন সিম কার্ড দেওয়ার নামে বারবার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করত এবং একই ব্যক্তির নামে একাধিক সিম কার্ড এক্টিভেট করত। পরে এই সিম কার্ড অবৈধভাবে প্রতারকদের কাছে বিক্রি করা হত, যা ব্যাংক জালিয়াতি ও সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত হতো।
পুলিশ সতর্কবার্তা জারি করে জানিয়েছে, কোনো ভ্রাম্যমাণ গাড়ি বা টোটো থেকে সিম কার্ড না কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বরং নির্দিষ্ট ও স্থায়ী দোকান থেকেই সিম কার্ড কেনা উচিত।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।