সংবাদ প্রতিবেদন, জলপাইগুড়ি, ২৭ মে : জ্যৈষ্ঠ মাসের অমাবস্যা তিথিতে, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ঐতিহাসিক স্মৃতিবহ পুজোকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে সোমবার অনুষ্ঠিত হলো শ্রী শ্রী ফলহারিণী কালী পূজা ও ষোড়শী পূজা। সন্ধ্যারতি শেষে রাত ৭টা থেকে শুরু হয় পূজা অর্চনা এবং রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি, এরপর রাত ১০টায় ফল প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় পুজোর সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান।
আশ্রম কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এবছরও প্রতি বছরের মতো একই নিষ্ঠা ও ধর্মীয় মর্যাদায় এই পূজা পালিত হয়েছে। রাতে পুজো উপলক্ষে আশ্রম চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে ভক্তদের উপস্থিতিতে। বহু মানুষ এই পুণ্যলগ্নে আশীর্বাদ লাভের আশায় ভিড় করেন আশ্রমে।
হিন্দু ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, এই বিশেষ দিনে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব স্বয়ং মা সারদাকে ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন। সেই স্মৃতিকে কেন্দ্র করে রামকৃষ্ণ মিশনে প্রতিবছর আয়োজন করা হয় এই পূজার। এদিন আশ্রমের সন্ন্যাসীরা বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে মা সারদাকে দেবী কালীরূপে আরাধনা করেন। সুসজ্জ্বিত বেশে মা সারদার প্রতিমা দর্শন করে আবেগে আপ্লুত হন বহু ভক্ত। অন্নভোগ নিবেদনের পর অনুষ্ঠিত হয় ভোগারতি এবং আশ্রমের আবাসিক ছাত্রদের পরিবেশনায় সঙ্গীত অনুষ্ঠানে ভক্তিময় আবহে পূর্ণ হয় সন্ধ্যা।
এই পূজা প্রসঙ্গে আশ্রমের সম্পাদক স্বামী শিবপ্রেমানন্দজী মহারাজ জানান, “এই পুজোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব যেমন আছে, তেমনি এর আধ্যাত্মিক তাৎপর্যও অসীম। প্রতি বছর ভক্তদের উৎসাহ ও নিষ্ঠাই আমাদের মূল প্রেরণা।”
এদিন রাতভর আশ্রমে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিরাজ করে, যেখানে ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতায় মিশে যায় বিশ্বাস, ভক্তি ও ঐতিহ্যের সুর। পূজো দেখতে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। পূজো শেষে ভক্তদের প্রসাদ বিতরন করা হয়।