জলপাইগুড়ি: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃত প্রসূতি সান্তনা রায়ের পরিবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। শনিবার, কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জমা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করে, বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের দপ্তরে অভিযোগ জানায় তারা।

উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে কচুয়াবোয়ালমারীর বাসিন্দা সান্তনা রায়কে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি করা হয়েছিল। সেদিনই রাতে সিজারিয়ানের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর ৩ জানুয়ারি তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। সেখানেও অবস্থার আরও অবনতি হলে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা চালানো হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, শুক্রবার সান্তনার মৃত্যু হয়।

পরিবারের দাবি, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই সান্তনার মৃত্যু হয়েছে। বিষাক্ত স্যালাইনের ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পরিবারের আরও অভিযোগ, তারা মৃতদেহের ময়নাতদন্ত ভিডিয়োগ্রাফি করার আবেদন করলেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ তা মানেনি।

মৃতার স্বামী উত্তম মাতব্বর জানান, “আমার স্ত্রীকে ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচার চাই।” মৃতার দেওর প্রভাত মাতব্বর বলেন, “ময়নাতদন্ত সঠিকভাবে করার পাশাপাশি অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তি চাই।”

কোতোয়ালি থানার পুলিশের দাবি, যেহেতু মৃত্যু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হয়েছে, সেখানেই অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে তদন্ত করতে সুবিধা হবে।
পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে। সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মৃতার পরিবার।