রাহুল মন্ডল, মালদা : আবারো নদীতে সক্রিয় ঝাড়খণ্ডের জলদস্যুরা। তোলা না দেওয়ায় মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে বাধা ও ব্যাপক মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় আহত তিনজন মৎস্যজীবী। মালদার মানিকচক গ্রামীন হাসপাতালে আহতরা চিকিৎসাধীন। দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়ে নিখোঁজ আরো একজন মৎস্যজীবী। মানিকচকের মাঝ গঙ্গায় জলদস্যুদের এমন হামলার মুখে মানিকচকের নারায়নপুর চর এলাকার মৎসজীবীরা।

দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আহত হয়েছেন তিনজন মৎস্যজীবী। তাদের নাম লালমোহন চৌধুরী, সিংহাসন চৌধুরী ও ধনুয়া চৌধুরী। পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ সমরলাল চৌধুরী নামে আরো একজন মৎস্যজীবী। নারায়ণপুর চর এলাকার বাসিন্দা এই সমস্ত মৎস্যজীবীরা। তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন তারা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বুধবার গঙ্গা নদীতে নৌকা করে মাছ ধরতে যান।কিন্তু তাদের ফেলে রাখার জাল তুলে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা এমনটাই তারা লক্ষ্য করেন।

কেন তারা জাল তুলছেন প্রতিবাদ করতেই আক্রমণের মুখে পড়েন মৎস্যজীবীরা। তোলা না দিলে মাছ ধরা যাবে না নদীতে। মৎস্যজীবীদের নৌকায় টাকা না পেয়ে মারধর শুরু করে ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরা। বাশ লাঠি দিয়ে তিনজন মৎস্যজীবীকে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়। একজন মৎস্যজীবীর প্রাণভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। তিনি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে আহত তিনজন মৎস্যজীবী মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের দারস্থ হবেন আহত মৎসযোগীরা এমনটাই জানিয়েছেন।