সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩০ জুলাই ২০২২ : জলপাইগুড়িতে এলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তরের কনফারেন্স রুমে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ, এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী, বিধায়ক খগেশ্বর রায়, জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়, ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ সিংহ। বনদফতরের অফিসার ও রেঞ্জাররা। বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বনমন্ত্রী গতকাল আলিপুরদুয়ার থেকে বনবিভাগের আধিকারিক সাথে বৈঠক করে রাতেই পৌঁছান জলপাইগুড়িতে। আজ সকাল থেকে প্রথমে তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের কর্মীদের সাথে কথা বলেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে একটু রেগে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। পরে জলপাইগুড়ির জেলাশাসকের কার্যালয়ে বনবিভাগ, জেলা পরিষদ সহ অন্যান্য দপ্তর ও বনবিভাগের আধিকারিক ও কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে করেন মন্ত্রী।

শনিবার জলপাইগুড়িতে রাজ্যের বন মন্ত্রী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে ওয়াইল্ড লাইফ ক্র্যাইম কন্ট্রোল করার জন্য বন দপ্তরের যে বিশেষ ট্যাক্সফোর্স তাকে আরো বড় এবং শক্তিশালী করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার জেলার জন্য দুটি ট্যাক্সফোর্স থাকবে,বন দপ্তরের এই ট্যাক্সফোরসের হাতে অত্যাধুনিক সেলফ লোডিং রাইফেল ( এস এল আর ) সহ নতুন গাড়ি, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আলোর জন্য টর্চ, সহ নানান সরঞ্জাম প্রদান করার কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগের তুলনায় হাতি অনেক বেড়ে গেছে। এই কারণে জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে আসছে হাতির দল। জলপাইগুড়ি জেলায় হাতির করিডর চিহ্নিত করা হয়েছে পাঁচটি। এই করিডর বাধা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গে বেশ কিছু চা বাগান চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে জেলাশাসকের মাধ্যমে সাধারণ ভাবে ব্যারিকেড করা হবে। নেপালে কিছু হাতি আমাদের এখানে আসার পর যেতে পাচ্ছে নেপাল আটকে দিচ্ছে রাস্তা সেই বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে দাবি মন্ত্রীর। হাতির আক্রমণ মৃত্যু হয়েছে একরম পরিবারের অনেককে চাকরি দেওয়া হলেও এখন অনেকে ক্ষতিপূরণের টাকা নিচ্ছেন না।

প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা পরে আছে। নোটিশ দিয়ে টাকা তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই এলাকায় হাতি ঢুকলে ম্যাসেজ চলে আসবে এরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক চা বাগানে চিতা বাঘের জন্য খাঁচা পাতা হচ্ছে। শূন্যপদ পূরণ করা হচ্ছে, ফরেস্ট এলাকায় কোন বালি খাদান, কারখানা এই ধরণের কোন কিছু করা যাবে না। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,” ফরেস্টের বন বাংলো সব অন লাইনে বুকিং করতে পারবেন সবাই সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যে আগে বুকিং করবেন সেই পাবেন।