ডুয়ার্স, ১১ জুন: বাইসন হোক বা গন্ডার, হাতি কিংবা চিতাবাঘ—জঙ্গল ছেড়ে যখন তারা চলে আসে লোকালয়ে, তখন পরিস্থিতি হয়ে ওঠে রীতিমতো উদ্বেগজনক। ঠিক সেই মুহূর্তে যাদের ওপর ভরসা করে গোটা প্রশাসন, তারাই বনদফতরের প্রশিক্ষিত ট্রানকুইলাইজার টিম। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, একইসঙ্গে একাধিক জায়গায় বন্যপ্রাণী ঢুকে পড়লে কর্মী ঘাটতি ও প্রশিক্ষণের অভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বন দফতরকে।
এই বাস্তবতাকেই মাথায় রেখে গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগ এবার একদিবসীয় বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল মূর্তি টেন্টে।

এই কর্মশালায় বনকর্মীদের শেখানো হয়—বন্যপ্রাণীকে চিহ্নিত করে সঠিক দূরত্বে অবস্থান নেওয়ার কৌশল। প্রতিটি প্রাণীর দেহগঠনের ভিত্তিতে ঘুমপাড়ানি গুলির ডোজ নির্ধারণ। ট্রানকুইলাইজারের যন্ত্রপাতি ও তৎপরতা কৌশল
বিশিষ্ট পশু চিকিৎসক ডা. শ্বেতা মণ্ডল নিজে হাতে কলমে বনকর্মীদের বিভিন্ন কৌশল শেখান। তাঁর কথায়— “প্রতিটি প্রাণী আলাদা। হাতি, গন্ডার বা চিতাবাঘ—একেকটিতে একেক মাত্রার ট্রানকুইলাইজার প্রয়োগ করতে হয়। সামান্য ভুল বিপদ ডেকে আনতে পারে প্রাণীরও, মানুষেরও। তাই এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।”
এই প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন— গরুমারা ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন, এডিএফও রাজীব দে, রেঞ্জ অফিসার নিমা লামু শেরপা সহ গরুমারা বিভাগের অন্তর্গত বিভিন্ন রেঞ্জের বনকর্মীরা।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভবিষ্যতে কোনও বন্যপ্রাণী লোকালয়ে ঢুকে পড়লে যাতে দ্রুত, নিরাপদ ও প্রাণী-সহায়কভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেদিকেই নজর বন দফতরের। বনকর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগে বনপ্রেমী মহলেও প্রশংসার সুর শোনা যাচ্ছে।