সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : মুম্বাইতে টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে ১০ লক্ষ্য টাকার চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে, গ্রামে দিদির রক্ষা কবচ অনুষ্ঠানে দাবি প্রাক্তন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতির। প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি পাগল হয়ে গেছেন – কটাক্ষ বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর।

গ্রামে গ্রামে গিয়ে দিদির নিরাপত্তা কবচ কর্মসূচি করছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের মণ্ডল ঘাট এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে পৌঁছান প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি চন্দন ভৌমিক, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি নুরজাহান বেগম সহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দিদির রক্ষা কবচ অনুষ্ঠানে গ্রামের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধে কেমন পাচ্ছেন তার খোজ নেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এরপরেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে দুপুরের আহার করেন তারা।

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগমুহূর্তে তৃণমূল নেতাদের দূর্নীতির ব্যাপারে কি বলছেন সাধারণ মানুষ সাংবাদিকরা এমনটা জানতে চাইলে জেলার প্রাক্তন তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি চন্দন ভৌমিক বলেন, এই ব্যাপারে শুধু মাত্র শহরের সুবিধে ভোগীদের একটি অংশ আলোচনায় ব্যস্ত। গ্রামে এর কোনো প্রভাব নেই। উল্টে চন্দন বাবু দাবি করেন মন্ডলঘাট গ্রামের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন দিদির স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়ে মুম্বাইয়ের টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে ১০ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুযোগ তিনি পেয়েছেন।

তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতির এই বক্তব্য প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি পাগল হয়ে গিয়েছেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড জলপাইগুড়ি শহরের যে কোনও নার্সিংহোম যেখানে ছুঁড়ে ফেলে দেয়, সেই কার্ড দিয়ে মুম্বাইয়ে দশ লক্ষ টাকার চিকিৎসার কথা বলা মানে তৃণমূল নেতারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তৃণমূল দুর্নীতির পাহাড় তৈরি করেছেন, জনগণকে যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে দেওয়া হয়, তাহলে গ্রাম-শহরে এই দুর্নীতির প্রভাব তৃণমূল বুঝতে পারবে।