বিশ্বজিৎ নাথ, কলকাতা : শনিবার ভরদুপুরে বেলঘড়িয়ার জনবহুল রথতলা মোড়ের কাছে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী অজয় মন্ডলের গাড়ি লক্ষ্য করে আট রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকায় বরাত জোরে প্রাণে তিনি বেঁচে যান। গুলির ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে গুলির ঘটনায় আতঙ্কে গৃহবন্দি ওই ব্যবসায়ী। রবিবার বেলায় ব্যবসায়ী অজয় মন্ডলের ব্যারাকপুরের বাড়িতে আসেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর আক্ষেপ, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ প্রশাসন। তবে প্রশাসনের উচিৎ ব্যবসায়ী অজয় মন্ডলকে নিরাপত্তা । এদিন তিনি বলেন, খাকি উর্দির একটা দম থাকে। সেই দমের জন্য ক্রিমিনালরা ভয় পায়। কিন্তু যখন ক্রিমিনালরা কাউন্সিলর, বিধায়ক কিংবা সাংসদ হয়ে যান। তখন ওই পুলিশরা তাদেরকে স্যালুট করেন। অভিযোগ উঠেছে, তিহাড় জেলে বসেই ওই ব্যবসায়ীকে তোলা চেয়ে ফোন করছে কুখ্যাত অপরাধী সুবোধ সিং। পুরানো ঘটনা তুলে ধরে অর্জুন সিং বলেন, সুবোধ সিং প্রথম ব্যাঙ্ক অফ বরোদার পানিহাটি শাখায় ডাকাতি করে ২২ লক্ষ টাকা লুঠ করেছিল। বর্তমানে সেই সুবোধ এখন তিহাড় জেলে বন্দি। টিটাগড়ে মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় যারা পিছনে ছিলেন। তারাই সুবোধকে ব্যারাকপুর চিনিয়ে ছিল। এখানকার অনেক অপরাধী সুবোধের লিংক ম্যান হিসেবে কাজ করে। অনেক ব্যবসায়ী চুপ করে ওকে পয়সাও দেয়। তবে প্রাক্তন সাংসদ পাশে দাঁড়ানোয় সাহস ফিরে পেলেন ব্যবসায়ী অজয় মন্ডল। এদিন ব্যবসায়ী অজয় মন্ডল দাবি করেন, জেল থেকে সুবোধ সিং দশবার ফোন করেছিল। তিনি ফোন ধরেন নি বলেই তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে তিনি ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আছেন। এমনকি বাড়ির বাইরে বেরোতে তিনি ভয় পাচ্ছেন।
