জলপাইগুড়ি: সীমান্তবর্তী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে আরও এক ধাপ এগোল রাজ্য সরকার। চাওই নদীর ওপর নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হল শুক্রবার। দীর্ঘদিন ধরেই সুখানী ও কুকুরজান গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ একটি স্থায়ী ও মজবুত সেতুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এবার তাঁদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
রাজগঞ্জ ব্লকের চাউলহাটি গ্রাম দিয়ে প্রবাহিত চাওই নদী পার হতে এতদিন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া একটি জরাজীর্ণ সেতুর ওপর ভরসা করতে হতো কয়েক লক্ষ মানুষকে। দিনের বেলায় কোনওভাবে যাতায়াত করা গেলেও সন্ধ্যার পর তা হয়ে উঠত বিপজ্জনক। এর আগে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সীমান্তের খুব কাছে হওয়ায় কাজ থমকে যায়। এবার নতুনভাবে, সীমান্ত থেকে কিছুটা দূরে সেতুটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় WBSRDA (West Bengal State Rural Development Agency)।
৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই সেতুর নির্মাণকাজের শুভ সূচনা করলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রূপালি দে সরকার, অরিন্দম ব্যানার্জি, ফারজান আলী, ইসরায়েল হক সহ আরও অনেকে।
শুভারম্ভ অনুষ্ঠানে বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন,
“এই সেতু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছিল। এবার সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। সীমান্তের খুব কাছে হওয়ায় পুরনো সেতু ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছিল। তাই সাধারণ মানুষের কথা ভেবে নতুন সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এই সেতু তৈরি হলে দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন মজবুত হবে, তেমনই অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতিও ত্বরান্বিত হবে বলে আশা স্থানীয়দের। এবার দেখার, দ্রুততার সঙ্গে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় কি না!