জলপাইগুড়ি: নাগরাকাটায় মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার চার অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের নাম একরামুল হক, গোবিন্দ শর্মা, সাহানুর আলম ও তোফায়েল হুসেন। আদালত শুনানির পর বিচারক তাদের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, নাগরাকাটা থানার তদন্তে এই চারজনের ভূমিকা স্পষ্ট হওয়ার পরই তাদের গ্রেফতার করা হয়। তবে ঘটনায় এখনও পঞ্চম অভিযুক্ত এতোয়া ওরাও-কে শুক্রবার আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলেও, বিজেপির দাবি—আসল অভিযুক্তদের ধরা হয়নি।

বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ “সেটিং” করে নিরপরাধ মানুষদের গ্রেফতার করছে। দলের তরফে আরও বলা হয়েছে, যে ভিডিও ফুটেজে হামলার দৃশ্য স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে, সেখানে যাদের দেখা গেছে, তাদের কাউকেই এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। এছাড়া ঘটনাটিতে খুনের ধারা যুক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দল। বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা শীঘ্রই এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
এদিন ধৃতদের আদালতে নিয়ে আসে নাগরাকাটা থানার পুলিশ। আদালত চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তা ছিল।
সৌজিত সিংহ (আইনজীবী, বিজেপি লিগ্যাল সেল) বলেন, “এটা স্পষ্ট রাজনৈতিক প্রভাবিত মামলা। নিরপরাধ মানুষদের ফাঁসানো হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে প্রকৃত প্রমাণ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।”