ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মহিলাকে গণধর্ষণ; গ্রেপ্তার ৩

কিবরিয়া হোসেন, ধুপগুড়ি, ১৬ ডিসেম্বর’২৩ : এক বিধবা আদিবাসী মহিলাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল চারজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা মহিলা। বুধবার ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ি থানার অন্তর্গত সাঁকোয়াঝোরা ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মহিলা চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে ভুট্টু শেখ, মফিজুল ইসলাম, নূর আলম নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার অভিযুক্তদের জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে তোলার পর বিচারক পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। বাকি একজন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার খান্ডাবাহালে উমেশ গনপত জানান, তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহিলার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। বাকি এক অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।

মহিলার অভিযোগ, বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ ভুট্টু শেখ ও তার তিন বন্ধু মিলে আচমকাই মহিলার বাড়িতে প্রবেশ করে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বাড়ির পাশের ঝোপে ধর্ষণ করে। সেইসময় বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। ঘটনার কথা কাউকে বললে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা। তবে এরপর তিনি চিৎকার শুরু করলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় সকলে।

জানা গেছে, ৫ বছর আগে মহিলার স্বামীর মৃত্যু হয়। তারপর থেকে ওই মহিলা নিজের দশ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতেই থাকতেন। কৃষিজমিতে দৈনিক শ্রমিকের কাজ করেই চলত সংসার। বুধবার সন্ধ্যেয় হঠাৎই মহিলার চিৎকার শুনতে পেয়ে বাড়ির পেছনে ঝোপ থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। এদিকে ঘটনার পর মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছে আদিবাসী সংগঠনগুলি।

অখিল ভারতীয় আদিবাসী মুক্তি মোর্চার সভাপতি ডঃ জয়প্রফুল্ল লাকড়া বলেন, ‘আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। যারা এই কাজটি করেছে তাদের কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *