সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৭ এপ্রিল’২৪ : বারাণসীর গঙ্গা আরতি পৃথিবীখ্যাত। দশাশ্বমেধ ঘাটে প্রতি দিন সন্ধ্যায় এই গঙ্গা আরতি হয়ে থাকে। এই আরতি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের দর্শনার্থীরা বারাণসীর দশাশ্বমেধ প্রতিদিন উপস্থিত থাকেন। দিনের শেষে যখন সূর্য অস্ত যায় এবং অন্ধকার চারপাশকে ঢেকে দেয়, ঘাটগুলি স্তোত্রের ধ্বনি এবং জ্বলন্ত প্রদীপের মন্ত্রমুগ্ধ দৃষ্টিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে। এই ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান একদল পুরোহিত দ্বারা সম্পাদিত হয় যারা নদীতে প্রার্থনা, সঙ্গীত এবং ধূপ দেয়।

এবার জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন গৌরিহাটের ডাঙ্গাপাড়া সার্ব্বজনীন মা শ্মশান কালী পূজা মন্দির কমিটির তরফে শনিবার আয়োজিত হল গঙ্গা আরতী। বারাণসীর সেই স্বাদ পেয়ে খুশি উপস্থিত সকলেই। উদ্যোক্তাদের দাবি উত্তরবঙ্গে এই প্রথম গঙ্গা আরতি হল গৌরিহাটে। সকলের পক্ষে বারাণসীতে গিয়ে হয়তো গঙ্গা আরতি দেখা সম্ভব নয়, তাই তারা বারাণসীর গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা জলপাইগুড়িতেই করেছেন এবছর। শনিবার এই গঙ্গা আরতি শুরু হলেও চলবে ৭ দিন ব্যাপী। বারাণসী থেকে ৫ জন পুরোহিত এসে হাজির হলেন পুজোর পোষাক পড়ে৷

ধূপ-ধূপকাঠির গন্ধ ভেসে আসছে। উত্তর মুখী করলা নদীর হিমেল বাতাসে নিমেষের মধ্যে মিটে গেল গরমের ক্লান্তি। সকলের হাতে রেডি মোবাইল ক্যামেরা। উলু-শঙ্খ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গৌরিহাটের চারিদিক। মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে উত্তরমুখী করলা নদীতে শুরু হয় গঙ্গাপূজা।