ময়নাগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে ট্রেনের কামরা থেকে ভুতের চিৎকার, ভুত ধরতে গেলেন আইসি, বিডিও (ভিডিও সহ)

সংবাদদাতা ময়নাগুড়ি : ময়নাগুড়ির দক্ষিণ মৌয়ামারীর গ্রামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার পর থেকেই নাকি অশরীরী আত্মারা তান্ডব করে বেড়াচ্ছে। এখনো বাকি রেলের বিভিন্ন কামরা থেকে নাকি রাতে ভেসে আসছে চিৎকারের আওয়াজ। দুই একজন নাকি অসুস্থও হয়ে পড়েছে। এরপরেই গ্রামে শুরু হয় হুলুস্থুল কাণ্ড। কেউ ছুটছে ওঝার কছে, কেউ আবার পূজাও শুরু করেছে।

আর এর সত্যতা যাচাই করতে রাতে ঘটনাস্থলে এলেন ময়নাগুড়ির ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দী ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস।

কিন্তু কোথায় ভূত? কোথায় চিৎকার? কোন কিছুই কিন্তু এদিন রাতে শোনা গেল না বা দেখা মিলল না। তাহলে কি এটা গ্রামবাসীদের নিছক একটা মনের ভুল। এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে গেল। গ্রামবাসীরা এখনো আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কি হয়েছিল সেদিন রাত্রে বা কেন তাদের মনে এখনও ভয়? গ্রামবাসীরা বলেন, রেল দুর্ঘটনার পর রাতে নিহতদের আত্মার রেলের কামরায় চিত্কার করছে। রাত হলেই নাকি সে চিৎকার শোনা যায়। বাঁচাও বাঁচাও আওয়াজ শোনা যায় রেলের কামরায় থেকে। গ্রামের এক মহিলা জানান, ওই ট্রেনে থাকা কাঁচা মাছ রান্না করে খেয়ে একজন অসুস্থ হয়ে পড়ে।

যদিও বিজ্ঞান মঞ্চ সমস্ত কথা অস্বীকার করেছে। ময়নাগুড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দী বলেন, ভূত বলে কিছুই নেই। এটা নিছক মানুষের একটি মনের ভুল। কেন গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কও ছড়িয়েছে এই বিষয়ে বিডিও বলেন, চোখের সামনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে তারা আতঙ্কিত। সে কারণেই তাদের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। ধীরে ধীরে তা কেটে যাবে।

ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস কয়েকজন কে নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় চষে বেরিয়ে ভূতকে গ্রেফতার করতে পারলেন না। আর ভূতকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতেই আইসি হেসে জবাব দেন, “আসলে গ্রামে যে ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়েছে তা কাটাতেই আমাদের এখানে আসা। আমরা মানুষদের বোঝাবো যে ভূত-প্রেত বলতে কিছু নেই। আর গ্রামবাসীদের এই কথা বোঝাতে পারলে রেলের ভূত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে তিনি মুচকি হাসি দিয়ে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *