শিলিগুড়িতে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ : উপস্থিত বিশিষ্ট সাধু, বিজেপি নেতারা এবং লক্ষাধিক ভক্ত

শিলিগুড়ি : শিলিগুড়ির কাওয়াখালি কুরুক্ষেত্র ময়দানে সনাতন সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। এক বছর আগে কলকাতার ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের পর এবার শিলিগুড়িতে আয়োজন করা হয়েছে এই কর্মসূচি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ১১০০ জন বিশিষ্ট সাধু-সন্ত এবং লক্ষাধিক ভক্ত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। রবিবার দুপুর বারোটায় শুরু হওয়া এই বিশাল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির একঝাঁক প্রথম সারির নেতা।

এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ময়দানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ট, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ এবং উত্তরবঙ্গের অন্যান্য বিধায়ক ও বিজেপি নেতৃত্ব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই বিশাল আয়োজনে ভক্তরা পায়ে হেঁটে বা বিভিন্ন যানবাহনে মাঠে উপস্থিত হন। সকাল থেকেই ময়দানজুড়ে ছিল উৎসবের আবহ। স্থানীয় মানুষ ও দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভক্তদের মধ্যে ভরপুর উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়।

এই কর্মসূচির মাধ্যমে গীতা চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরতে চেয়েছেন আয়োজকরা। বাংলার চারিত্রিক অবক্ষয় এবং মানবসম্পদের অবমূল্যায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হলে হিন্দুদের সজাগ হতে হবে। গীতা মানবজাতিকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে।”

গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দুদের পাশে থাকার আবেদন জানান আয়োজক ও বক্তারা। গীতার মন্ত্রই মানবিকতা এবং সংহতির বার্তা ছড়াতে পারে বলে তারা মনে করেন।

সনাতন সংস্কৃতি সংসদের মতে, “বর্তমান সমাজের নৈতিক সঙ্কট ও অবক্ষয় থেকে মুক্তি পেতে গীতা চর্চা অত্যন্ত জরুরি। গীতার মন্ত্র মানবজাতিকে প্রকৃত পথ দেখাতে পারে।”

এই অনুষ্ঠান শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি গীতার শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিয়ে সমাজে নৈতিকতার পুনর্জাগরণের একটি প্রয়াস। লক্ষাধিক ভক্ত এবং বিশিষ্ট সাধু-সন্তদের উপস্থিতিতে শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ময়দান এক স্মরণীয় দিনের সাক্ষী হয়ে থাকল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *