সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ৩ নভেম্বর’২৩ : জলপাইগুড়ি রংধামালিতে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী মহারাজ মেলা। এদিন নিয়ম নিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে একদিনের দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয় । পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামে এখন উৎসবের আমেজ। এবছরে পুজো ১৪২ তম বর্ষের দাবী উদ্যোক্তাদের। উল্লেখ্য প্রতি বছর লক্ষীপুজোর পরের বৃহস্পতিবার এই পুজো হয়।

এদিন থেকে শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী মেলা। কথিত রয়েছে মর্ত্যে পুজোর শেষে সপরিবারে কৈলাস ফেরার সময়ে রংধামালির আমবাগানে বিশ্রাম নিতে আসেন দেবী দুর্গা। তা জানতে পেরে ওই বাগানের মালিক মহারাজ গ্রামবাসীদের খবর দেন। খবর পেয়ে বাগানে দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের পুজো করেন সকল গ্রামের মানুষজন। একদিন গ্রামে থেকে যাওয়ার অনুরোধ করেন গ্রামবাসীরা। তাতে রাজী হন দেবী।

দেবী ফিরে যাওয়ার সময় আশীর্বাদ করে এই গ্রামে সব সময় শস্যশ্যামলা ময় হয়ে থাকবে এই গ্রাম । এরপর থেকে প্রতিবছর এই দিনে দশভূজার পুজো হয়ে আসছে। মহারাজের বাগানে দেবী দুর্গা বিশ্রাম করেছিলেন এমন জনশ্রুতির কারণেই মেলার নাম হয়েছে মহারাজ মেলা। পরবর্তী সময় সেই এলাকাবাসীর সমন্বয়ে মহারাজ মেলা এখন সার্বজনীন হয়ে উঠে। এবছর ও সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি পরিচালনায় সর্দারপাড়া রংধামালীর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রতিবারের মতো এবছরেও এই মহারাজ মেলার আয়োজন করা হয়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার থেকে যেমন আসেন দর্শনার্থীরা তেমনি হরেক রকমের পশরা নিয়ে হাজির হন দোকানিরা । মহারাজ মেলা প্রসঙ্গে মেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ বিনয় কুমার রায় বলেন,লক্ষী পুজোর পর যে বৃহস্পতিবার পরে সেই বারেই মহারাজ মেলা হয়। এই মহারাজ মেলাকে কেন্দ্র করে এখানে এক মিলন ক্ষেত্র তৈরী হয়।

এই এলাকার মেয়েদের যাদের বাইরে বিয়ে হয়েছে বা কর্মসূত্রে কেউ বাইরে থাকেন তাঁরা আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে দেখা বা মিলিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। মা দুর্গার এখানে একই দিনে সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী দশমী পুজো হবে। পাশাপাশি শ্যামা কালী, ভদ্রকালী ও বাঁও কালী তিনটি মুর্ত্তির পুজো হয়। এই পুজোকে ঘিরে দূর দুরান্তের ভক্তরা আসেন। মেলায় নাগর দোলা, ড্রাগন ট্রেন, মত কি কুয়া, ডিসকো ড্যান্সার সহ শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন বিনোদন রয়েছে । আগামী তিন দিন ধরে মেলা চলবে বলে তিনি জানান ।