জলপাইগুড়ি, ১৬ জুন: বিশ্ব বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতির জেরে দেশের অন্যান্য প্রান্তের মতো জলপাইগুড়ির সোনার বাজারেও মন্দা স্পষ্ট।
জলপাইগুড়ি জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় রবিবার রাতে এই বিষয়টিই উঠে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের বর্ষীয়ান সম্পাদক বিকাশ দাস, যিনি টানা ৩০ বছর ধরে এই দায়িত্বে আছেন এবং আবারও নির্বাচিত হয়েছেন দুই বছরের জন্য, জানান—“আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনৈতিক ও আর্থিক অস্থিরতার ফলে সোনার দাম লাগামছাড়া বেড়ে চলেছে। এর প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও। ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে, সোনার চাহিদা কমছে, আর ব্যবসা প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, “বিশ্ব পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সোনার দামে স্থিতি আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।”
সভায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসে—বেআইনি বা চুরি করা সোনা কেনাবেচা প্রতিরোধে অ্যাসোসিয়েশনের কঠোর অবস্থান।
বিকাশ বাবু জানান, “আমাদের সদস্যদের কেউ বেআইনি সোনা কেনেন না। কেউ এমন সোনা বিক্রির চেষ্টা করলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিই।”
উত্তরবঙ্গজুড়ে সোনা ব্যবসায়ীদের স্বার্থরক্ষায় ও নৈতিক বাণিজ্যের পথে হাঁটার আহ্বান জানান তিনি।
এদিনের সাধারণ সভা শুধু একটি বৈঠক নয়, বরং হয়ে উঠল সংকটময় সময়ে ব্যবসায়িক নৈতিকতা ও সচেতনতার বার্তা বহনকারী এক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। সোনার দামের উঠানামার চেয়েও মূল্যবান হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি।