জলপাইগুড়ি : ডুয়ার্স ও তরাই অঞ্চলে চা বাগানের জমি ভিন্ন কাজে ব্যবহারের সরকারি সিদ্ধান্ত ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে পাহাড় ও সমতল। রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুযায়ী, চা বাগানের ৩০ শতাংশ জমি এবার থেকে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। আর এই ঘোষণার পরই ক্ষোভে ফুঁসছে চা শ্রমিক ও স্থানীয় জনজাতির মানুষজন।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা শাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক শিবা সুনারের সাফ বক্তব্য, “দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে এই চা বাগানের জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষেরা বসবাস করছেন, কৃষিকাজ করছেন। অথচ সেই জমির কোনো নথিভুক্তি নেই! আগে আমাদের ভূমিপুত্রদের নামেই জমি রেকর্ড হোক, তারপর অন্য কিছু ভাববে সরকার।”
তিনি আরও বলেন, “চা বাগানের জমি রাজ্যের সম্পদ হলেও, এটি মূলত এখানকার শ্রমিক ও বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল ক্ষেত্র। জমির মালিকানা না দিয়ে হঠাৎ করে ভিন্ন ব্যবহারের সুযোগ দিলে এখানকার মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। তাই অবিলম্বে এই বিতর্কিত নির্দেশিকা বাতিল করতে হবে।”
চা বাগান ঘিরে দীর্ঘদিনের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতি রক্ষার দাবিতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংগঠন আন্দোলনের পথে নেমেছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার স্মারকলিপির মাধ্যমে সেই আন্দোলন যে আরও জোরদার হবে, তা বলাই বাহুল্য। এখন দেখার, এই দাবির প্রতি সরকার কীভাবে সাড়া দেয়!